বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মার্কেট ঝুঁকিমুক্ত করতে সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়া হবে: তাপস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ২০:৩৭

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে যে অগ্নিকাণ্ডগুলো যোগ হচ্ছে তাতে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত। প্রায় প্রতিদিনই আগুন লেগে চলেছে। এসব ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, এটি কোনো নাশকতা কিনা- গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন তৎপর। তারা এসব দুর্ঘটনার পেছনের কারণগুলো ও রহস্য উদঘাটনে কার্যক্রম গ্রহণ করছে। আমরা মনে করি, অবশ্যই এই রহস্য উদঘাটন হবে।’

রাজধানীর মার্কেট ভবনগুলো ঝুঁকিমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার বিকেলে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ‘বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ঘোষিত ২ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘আমাদেরকে দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমে যেতে হবে। শুধু ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা নয়, ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তা যেন আর ব্যবহৃত না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। আমরা স্থায়ী কমিটি গঠন করেছি। তারা এই বিষয়গুলো পরিপূর্ণভাবে খতিয়ে দেখবে। নির্মাণ কাঠামোগতভাবে ঝুঁকি, অগ্নি নির্বাপণ সংক্রান্ত ঝুঁকি- এসব বিষয় তারা খতিয়ে দেখবে।

‘প্রতিটি মার্কেট ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য যেসব কার্যক্রম নিতে হবে পর্যায়ক্রমে আমরা তা করব। যদি সেটা ভেঙে ফেলতে হয় তবে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে। যদি সেটা সংস্কারযোগ্য হয় তাহলে পর্যাপ্ত সংস্কার করতে বাধ্য করা হবে। সে মালিক হোক, মার্কেট ব্যবসায়ী হোক অথবা সিটি করপোরেশন হোক।’

তাপস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বিডাকে নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে করে তারাও এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নেয়। সুতরাং আমরা সম্মিলিতভাবে এখন থেকে কার্যক্রমগুলো নেব। আমরা আগামীতে ১০ বছর বা দীর্ঘমেয়াদি একটি সময় নির্ধারণ করব।’

সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত করতে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে যে অগ্নিকাণ্ডগুলো যোগ হচ্ছে তাতে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত, মর্মাহত। প্রায় প্রতিদিনই আগুন লেগে চলেছে।

‘এসব ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, এটি কোনো নাশকতা কিনা- গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন তৎপর। তারা এসব দুর্ঘটনার পেছনের কারণগুলো ও রহস্য উদঘাটনে কার্যক্রম গ্রহণ করছে। আমরা মনে করি, অবশ্যই এই রহস্য উদঘাটন হবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে এ দেশে মানুষ কাজ করতে চাইলে কাজ করতে পারে। ৪ তারিখে আগুন লাগার পরে ৬ তারিখ পর্যন্ত আগুন জ্বলল। ৭ তারিখে মেয়র মহোদয়সহ আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিলাম কিভাবে ব্যবসায়ীদের বসিয়ে দেয়া যায়। মেয়র মহোদয় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই জায়গাটাকে পরিষ্কার করতে বললেন। প্রায় আড়াই হাজার টন বর্জ্য এখান থেকে সরিয়ে ঠিক বুধবার ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আমরা সেই জায়গাটা প্রস্তুত করতে পেরেছিলাম। মেয়র মহোদয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছেন, বিগত দিনে অন্য কেউ দাঁড়ায়নি। সেজন্য মেয়র মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

পরে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল হতে ২ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, বঙ্গবাজার মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর