দেশের ১১টি জেলার ওপর দিয়ে রোববার বয়ে গেছে তীব্র তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ। এসব জেলার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সকাল ৯টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে।
কোনো জেলা বা অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে ওই এলাকায় মৃদু দাবদাহ বইছে ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কোনো একটি অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে একে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে আখ্যা দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
ঢাকা বিভাগের ঢাকায় রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই বিভাগের ফরিদপুরে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৩ ও গোপালগঞ্জে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী বিভাগের রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর বিভাগে সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল রংপুরে।
ময়মনসিংহ বিভাগের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল ময়মনসিংহে।
সিলেট বিভাগের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল সিলেটে।
চট্টগ্রাম বিভাগের সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল নোয়াখালীর মাইজদী কোর্ট ও ফেনীতে।
খুলনা বিভাগের ছয়টি জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। খুলনায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৩, বাগেরহাটের মোংলায় ৪১ দশমিক ৪, সাতক্ষীরায় ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৮, চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮ ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বরিশাল বিভাগের সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল বরিশালে।