বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেহরি-ইফতারে মিলছে না বিদ্যুৎ

  • দেবাশীষ দেবু, সিলেট   
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:৫৭

গত তিনদিনই ধরেই এমনটি হচ্ছে জানিয়ে জিন্দাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী সুমন আহমদ বলেন, দিনরাতের বেশিরভাগ সময় তো বিদ্যুৎ থাকেই না। এখন ইফতার-সেহরির সময়ও বিদ্যুৎ মিলছে না।

রোববার সিলেটে ইফতারের সময় ছিল ৬ টা ১৭ মিনিটে। ঠিক দুই মিনিট আগে নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। যদিও এর মাত্র আধঘণ্টা আগেই এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের পর বিদ্যুৎ এসেছিল।

গত তিনদিনই ধরেই এমনটি হচ্ছে জানিয়ে জিন্দাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী সুমন আহমদ বলেন, দিনরাতের বেশিরভাগ সময় তো বিদ্যুৎ থাকেই না। এখন ইফতার-সেহরির সময়ও বিদ্যুৎ মিলছে না।

চলছে রমজান মাস। এরমধ্যে তীব্র গরমের মধ্যে সিলেটে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে লোডশেডিং। দিন নেই, রাত নেই, ইচ্ছেমত লোডশেডিং করা হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা বিদ্যুৎ থাকছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গরম বেড়ে যাওয়া ও রাতভর ঈদের কেনাকাটা চলায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়েছে। তবে সরবরাহ বাড়েনি। বরং চাহিদার তুলনায় এখন অর্ধেক সরবরাহও মিলছে না। ফলে লোডশেডিং বেড়েছে।

গত বছর বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে লোডশেডিংয়ের শিডিউল দেয়া হলেও এবার তেমনটি করা হয়নি। কোন পূর্বঘোষণা ছাড়াই দিনে ৭/৮ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে।

নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা ইসলাম বলেন, গতকাল সেহেরির আগে বিদ্যুৎ চলে যায়। সেহরির সময়ও যে বিদ্যুৎ চলে যাবে তা ভাবতেই পারিনি। ফলে গরমে বাসার কেউই খাওয়া দাওয়া করতে পারেনি।

তিনি বলেন ‘আজ (রোববার) সকালেও ঘুম থেকে ওঠার আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়। সারাদিনে প্রায় ছয়বার লোডশেডিং হয়েছে। এই রোজার সময় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, রোববার সিলেটে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সবগুলো ডিভিশনের চাহিদার মধ্য থেকে মাত্র ৪২ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে ঘাটতি ছিল ৫৮ ভাগ। একারণে বারবার লোডশেডিং করতে হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ-ই-আরেফিন রোববার দুপুরে জানান, তার ডিভিশনে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দরকার। কিন্তু সরবরাহ করা হয়েছে ১৭ মেগাওয়াট। ফলে ১৩ মেঘাওয়াটের ঘাটতি রয়েছে। একারণে অনির্ধারিত লোডশেডিং হচ্ছে।

সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়ছেন বলে জানান তিনি।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরমের কারণে জেনারেশন ফল্ট ও চাহিদা বেড়ে যাওয়া বিদ্যুতের লোড বেড়ে গেছে। গরমের কারণে বাসা বাড়ি, মার্কেট, অফিস পাড়ায় এসির ব্যবহার বেড়ে গেছে। আসন্ন ঈদের কারণে মার্কেট শপিংমলগুলোতে দীর্ঘ সময় খোলা থাকছে। পাশাপাশি এখনো অফিস আদালত, কলকারখানা বন্ধ হয়নি তাই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে।

এব্যাপারে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, সিলেটে বর্তমানে ৩০ শতাংশ লোডশেডিং করা হচ্ছে। হঠাৎ অতিরিক্ত গরমের কারণে জেনারেশন ফল্ট করছে তাই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তার ওপর আসন্ন ঈদের কারণে মার্কেট শপিংমলগুলোও বেশ রাত পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে। সব শপিংমলই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) চালু থাকছে। বাসা বাড়িতেও এসির ব্যবহার বেড়ে গেছে। তাই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে।

এই লোডশেডিং তিন চার দিনের বেশি স্থায়ী হবে না বলে উল্লেখ করে আব্দুল কাদির আরও বলেন, ‘দুই তিন দিনের মধ্যে অফিস, আদালত, কল-কারখানা ঈদের ছুটিতে বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আশাকরি বিদ্যুতের চাহিদা আগের মত হয়ে যাবে। লোডশেডিংয়ের সমস্যা থাকবে না। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লোডশেডিংয়ের শিডিউল দিয়ে দেব।

এ বিভাগের আরো খবর