ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া গ্রামে সাত বছরের শিশু আসাদকে শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় একজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আবদুল মতিন রোববার দুপুরে এ দণ্ডাদেশ দেন ।
দণ্ডপ্রাপ্ত ৩৫ বছর বয়সী আসাদুল ইসলাম কাপাশহাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পিপি অজিত কুমার বিশ্বাস জানান, ২০১৩ সালের ১২ জুলাই কাপাশহাটিয়া গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে আসাদ বাড়ির পাশের বাগানে খেলা করছিল। পরে সে বাড়িতে ফেরেনি আর। ঘটনার ছয় দিন পর গ্রামের পাটক্ষেত থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আসাদের মা আরজিনা খাতুন বাদী হয়ে পরের দিন ১৯ জুলাই সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে আসামি করে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত চলাকালে আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আদালতে শিশু আসাদকে শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা নিরব হোসেন ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি আসাদুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ওই চার্জশিটে থেকে অব্যাহতি দেয়া সন্দেহভাজন পাঁচজনকে। পরে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসাদুলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পিপি অজিত কুমার বিশ্বাস জানান, শিশু আসাদকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে পাটক্ষেতে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে দণ্ডিত আসাদুল।