বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ ১৪:২৪

সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে কেউ যাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে। আমি শুধু ঢাকা শহরে না; সারা দেশের সকলকে সতর্ক করছি, সবাই যেন একটু সতর্ক থাকেন।’

রাজধানীর বিভিন্ন বিপণি বিতানে সম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলো নাশকতা বা ষড়যন্ত্র কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউ সুপার মার্কেটে আগুন ধরার দিন শনিবার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

ওই মার্কেটে শনিবার ভোররাতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট নিয়ন্ত্রণে আনলেও এখনও নির্বাপণ হয়নি সে আগুন।

সভায় বিএনপির কথা উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তো জানি আমাদের সেই কিছু রাজনৈতিক দল ঈদের পর আন্দোলন করবে, অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেবে। অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে সরকারকে উৎখাত করবে, কিন্তু এ সাধারণ মানুষগুলো কী অপরাধ করল? সাধারণ ব্যবসায়ীরা কী অপরাধ করল? সাধারণ ক্রেতারা কী অপরাধ করল?’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেখানে ক্রয়-বিক্রয় করে, সেই জায়গাগুলো পোড়ায়ে দেয়া, সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করা; সাধারণ ব্যবসায়ীরা সারা বছর আকাঙ্ক্ষা করে বসে থাকে এই সময় একটা ব্যবসা করবে। এগুলো আমার মনে হয় সহজে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।’

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস, বিএনপির সেই একটানা অগ্নিসন্ত্রাস, প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাড়ি, ২৯টা ট্রেন, প্রায় আট-নয়টা লঞ্চ, ৫০০ স্কুল, ৭০ সরকারি অফিস, ছয়টা ভূমি অফিস, সেগুলো তো তারা পুড়িয়ে দিয়েছিল। ৩২০০ মানুষকে তারা পুড়িয়েছে, পাঁচ শর ওপরে মৃত্যুবরণ করেছে। এখনও সেই পোড়া অবস্থায় মানুষগুলো কী রকম মানবেতর জীবনযাপন করছে।’

পরপর আগুন লাগা সন্দেহের কারণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক ছয়টার পর আগুনটা লাগছে। এটার ওপর নজরদারিটা বাড়াতে হবে। অন্যান্য মার্কেটগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। যদিও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটা মার্কেটকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে তাদের মার্কেটের যে অবস্থা, সেখানে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে, কিন্তু এরপর পরপর চারটা দুর্ঘটনাকে যদি আমরা দেখি, তাহলে এটা কি আদতেই আসলেই কোন দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে কোনো কারসাজি আছে?’

সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামীতে কেউ যাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে। আমি শুধু ঢাকা শহরে না; সারা দেশের সকলকে সতর্ক করছি, সবাই যেন একটু সতর্ক থাকেন।’

মার্কেটগুলোতে পাহারা জোরদার এবং নিজস্ব আগুন নেভানোর ব্যবস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে দোকান মালিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকটা মার্কেটে যারা দোকান মালিক এবং মালিক সমিতি, তাদেরকে আমি বলব একটা সময় আগুন লাগছে; ওই সময়টা তাদেরকে পাহারার ব্যবস্থা করা উচিত। তাদের প্রত্যেকের দোকানে তাদের নিজস্ব লোক রাখা দরকার, তাদের সতর্ক থাকা দরকার। আগুন লাগলে সাথে সাথে আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস যায়, তবে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনাও থাকতে হবে।’

কোথাও আগুন লাগলে সেখানে অহেতুক ভিড় করে কাজে বাধা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আগুন লাগলে দেখার জন্য মানুষের ভিড়, এটা কমাতে হবে। সবাই যদি এক বালতি করে পানি নিয়ে আসে, তাও তো আগুনটা নেভাতে সাহায্য করা যায়। সেটা না করে সবাই দেখতে আসে, সেলফি তোলে ফটো তোলে, এটা কী ধরনের কথা!’

যারা কাজে বাধা দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে যারা কাজ করবে, কাজে যেন কেউ বাধা দিতে না পারে। আর যারা বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ফায়ার সার্ভিসের কাজে যারা বাধা সৃষ্টি করে তাদের সতর্ক করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের পর যারা ফায়ার সার্ভিস ভেঙেছে, বঙ্গবাজারে যারা বাধা দিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের শাস্তি দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর