নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শ্যালিকাকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় পোশাক কারখানার এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই নারী শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে ভগ্নিপতির নামে মামলা করেন। এরপরই পুলিশ পোশাককর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া ৩৮ বছর বয়সী মো. রিপনের বাড়ি ভোলার বোরহান উদ্দিন থানার বড়গাছিয়া গ্রামে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ফতুল্লায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। কাজ করেন স্থানীয় পোশাক কারখানায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ওই নারীর বড় বোন ও তার স্বামী রিপন সদর উপজেলার ফতুল্লার রামারবাগ এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সেই বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ওই এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন মামলার বাদী।
শুক্রবার সকাল পাঁচটার দিকে রিপন তার শ্যালিকার ঘরে ঢোকেন। তখন ওই নারী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। ওই সময় রিপন তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তখন তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠে রিপনকে কক্ষ থেকে বের করার চেষ্টা করেন, কিন্তু রিপন সেখান থেকে না গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ওই সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তিনি চিৎকার দিলে তার বড় বোন সেখানে যান। পরে রিপন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।
ফতুল্লা থানার ওসি রিজাউল হক জানান, ওই নারী থানায় এসে তার ভগ্নিপতির নামে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার পরপরই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।