শোভাযাত্রা ও জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে উদযাপিত হচ্ছে মারমা জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব সাংগ্রাই। নানা আয়োজনে উৎসবে মেতে উঠেছে জনগোষ্ঠীটির নর-নারীরা। এই উৎসবের মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেছেন আয়োজকরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে জেলা শহরের পানখাইয়া পাড়া মারমা উন্নয়ন সংসদ থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে জলকেলিতে সমবেত হয়।
শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা । সেখানে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন মারমা শিল্পীরা।
এ সময় সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে তরুণ-তরুণীরা সামনের দিনগুলোতে অনাবিল সুখ আর শান্তি কামনায় জলকেলিতে অংশ নেন। বাধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন মারমা তরুণ-তরুণীরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আজকের দিন থেকেই আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, যাতে আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে খাগড়াছড়ির পার্বত্য অঞ্চলকে সুখে শান্তিতে ও সমৃদ্ধিতে রাখতে পারি।
এরআগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌর টাউন হল প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
পরে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। সংক্ষিপ্ত সভা শেষে খাগড়াছড়ি পৌর টাউনহল প্রাঙ্গনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
এদিকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে খাগড়াছড়ি নারী উন্নয়ন সংস্থার সদস্যদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে ৫দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা। চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।