আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভাবছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হারালে তাদের অবস্থা করুণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ির পাবলিক ক্লাব মাঠে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের রংপুর, রাজশাহী বিভাগীয় ইফতার মাহফিলে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লুটপাট করতে করতে এরা (আওয়ামীলীগ) এমন একটা জায়গায় দেশটাকে নিয়ে গেছে যে, তারা মনে করছে যদি একবার ক্ষমতা চলে যায় তাহলে তাদের করুণ অবস্থা হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা শুধু ইফতার মাহফিল নয়, বর্তমানে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ সরকার পতনের যে আন্দোলন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্তি ও দেশ নায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার এবং শোষণ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার যে আন্দোলন, সে আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দল ভ্যানগার্ড হয়ে থাকবে তারই শপথ গ্রহণ আজ।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে উন্নয়নের কথা বলে প্রতিনিয়ত শোষণ করছে।
‘তাই আমাদের দশ দফা আন্দোলনে প্রথমেই বলা হয়েছে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে এবং তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে আমরা একটা ক্রান্তিলগ্ন অতিবাহিত করছি। চলমান আন্দোলনে এ দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সহ মোট ১৭ জন বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ ভয়াবহ সরকারকে পরাজিত করতে না পারি তাহলে জাতির টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’
ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে লন্ডন থেকে যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. তৈমুর রহমানসহ বিএনপি নেতারা।