শেষ দর্শনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্য, নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সাভারের মির্জানগর এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ মাঠে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন শতাধিক মানুষ। পরে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সারিবদ্ধভাবে ডা. জাফরুল্লাহকে শ্রদ্ধা জানান আগতরা।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিরাজ আহমেদ শিথিল বলেন, ‘আমাদের অভিভাবককে হারিয়েছি আমরা। তার মতো মানুষ আর আসবে না। তার মৃত্যুতে গণস্বাস্থ্যের সবাই আজ শোকাহত। আমরা এই শোক কোনদিনও ভুলতে পারব না।
‘আজ সকাল থেকে তাকে একবার দেখার জন্য আমরা দাঁড়িয়ে আছি। সর্বস্তরের মানুষ এসেছেন তাকে শ্রদ্ধা জানাতে। জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে গণস্বাস্থ্যের মাটিতেই তাকে দাফন করা হবে।’
শ্রদ্ধা জানাতে আসা কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো মানুষ তো আর আসবে না৷ আমাদের ইতিহাসের একটি কাল পর্ব শেষ হয়ে গেল৷ এই ইতিহাস আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত।
‘জাফরুল্লাহ সাহেবের সবচেয়ে বড় অবদান যেটি, সেটা হলো মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা স্বাস্থ্য, পুষ্টি, খাদ্য সমাধান করার কাজটা সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের কাজ। সেই কাজটাই করেছেন জাফরুল্লাহ।’
দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যার কারণে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গত ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ৮১ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চতুর্থ জানাজা হয় তার।