মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উল্লেখ করে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, প্রত্যাশা ও সফলতার বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলা নববর্ষ।
নববর্ষের দিন শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যাশা ও সফলতার বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০। মঙ্গল শোভাযাত্রা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ইউনেসকোর ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয়েছে।
‘সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা হয়েছে। জাতির পিতা যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন।’
নিরাপত্তা বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখেছি জোট সরকারের সময় রমনার বটমূলে বোমা হামলা হয়েছে। বোমা হামলা তাদের সরকারের একটি অংশ ছিল। একসাথে ৬৪ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল।
‘সেই জায়গাটি থেকে নিরাপত্তার জন্য হুমকিও এসেছে। একজন আইনজীবী হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত করেছেন মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধ করার জন্য। নিরাপত্তা বেষ্টনী যেটা দেখছেন, আগেও এটা ছিল।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘‘এবার প্রতিপাদ্য হলো ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’। অর্থাৎ সুষ্ঠু পৃথিবীর জন্য তুমি পানি বর্ষণ করো, যাতে এই উত্তপ্ত বসুন্ধরা স্নিগ্ধ হয়, শান্ত হয়, মনোরম হয়, সুন্দর হয় এবং ফুলে ফলে ভরে ওঠে।’’
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সবাইকে শুভ নববর্ষ জানাচ্ছি। এই মঙ্গল শোভাযাত্রা আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং এখন এটি ওয়ার্ল্ড মেমোরি অফ হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত।
‘ফলে এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর এটি অসাধারণ সম্পদ। সেটির রক্ষণাবেক্ষণ, সেটি সংরক্ষণ ও সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া এখন সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব।’