ঘর থেকে বেরিয়ে দুই পা হাঁটলেই সূর্যের উত্তাপ লাগে গায়ে। এ তাপে রীতিমতো জ্বলতে থাকে শরীর। দিনভর এমন আবহাওয়ায় জীবনের গতি যায় থমকে। এরই মধ্যে নতুন দিনের, নতুন শুরুর বার্তা নিয়ে এসেছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ।
বিশেষ এ দিনে বিরূপ প্রকৃতিতেও প্রাণ সিক্ত করার উৎসবে মাতবেন বিভিন্ন বয়সী বাঙালিরা। বরাবরের মতো এবারও বর্ণিল শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরে ঘর থেকে বেরিয়ে নব আনন্দে জাগবে প্রাণ।
প্রতি বছরের মতো এবারও রমনা বটমূলে আয়োজন হয়েছে বর্ষবরণের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার আয়োজনে হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রা।
দেশজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে চলছে বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠান।
রাজধানীতে সকাল থেকে বৈশাখী জামায় নতুন বছরকে বরণে সড়কে নেমেছেন বিভিন্ন বয়সীরা। রমনা বটমূলে আসা মো. সুমন নিউজবাংলাকে বলেন,‘প্রায় প্রতি বছরই আসি রমনায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে। এবার এসেছি বিশেষ কারণে। মন থেকেই চাই বৈশাখ বরণ বা উদযাপন নিয়ে যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়েছে, সেটা যেন বন্ধ হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রমনায় এসেছি। সবকিছু ভুলে আমরা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে চাই।’
বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নববর্ষের প্রাক্কালে এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘এই শুভ নববর্ষের প্রাক্কালে আমাদের প্রার্থনা এই যে, আমরা যেন সমস্ত অন্ধকার ও বাধা বিপত্তি দূর করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি।’
দেশের সব গণমাধ্যমে প্রচারিত সংক্ষিপ্ত ওই বার্তায় সরকারপ্রধান বলেন, নানা ধরনের বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে দেশ আরও একটি বছর পার করেছে।
দেশ-বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’।