জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ইচ্ছা অনুযায়ী মৃত্যুর পর তার দেহ মেডিক্যাল সায়েন্সের জন্য দান করতে চেয়েছিল তার পরিবার। সে কারণে ছেলে বারিশ চৌধুরী যোগাযোগ করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে, যেখানে পড়াশোনা করেছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার গড়ে তোলা সাভার গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজেও যোগাযোগ করেন বাবার দেহদানের ব্যাপারে।
কিন্তু ডা. জাফরুল্লাহর প্রতি সম্মান জানিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের কোনো ডাক্তারই শরীর কাটতে রাজি হননি বলে জানান বারিশ। পরবর্তীতে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই দাফন করার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার।
এ বিষয়ে ছেলে বারিশ চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবার সারাজীবনের ইচ্ছা ছিল, যাতে তার দেহ মেডিকেল সায়েন্সের জন্য দান করা হোক। সন্তান হিসেবে তার শেষ আশাটা পূরণ করতে চেষ্টা করেছিলাম। আমরা দেহ দানের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজে যোগাযোগ করেছি।
‘দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই আমাদের জানানো হয়েছে, কোনো ডাক্তার বাবার শরীরে ছুরি চালাতে পারবেন না। সম্মানের জায়গা থেকে তারা এটা করবেন না বলেছেন। তাই আমরা বাবার নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান সাভারের গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে দাফন করবো।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক সেগুপ্তা কিশওয়ারা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মরণোত্তর দেহদানের জন্য আমাদের এনাটমি ডিপার্টমেন্টে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। কেউ দেহদান করতে চাইলে আমাদের আপত্তি করার কোনো কারণ নেই।
‘শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা এবং গবেষণার জন্য সাধারণত মরণোত্তর দেহদান করা হয়। ঢাকা মেডিক্যালের এনাটমি ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করলে আমরা জানতাম। উনি অন্য কারও সঙ্গে কথা বলেছেন কি না, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।'