দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সাংবাদিক নীতিমালা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। যে নীতিমালা হয়েছে তা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ মন্তব্য করে সাংবাদিকদের মতামত নিয়ে আবার আলোচনায় বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা দেন সিইসি।
বুধবার দ্বাদশ ভোটের সাতমাস আগেই সাংবাদিকদের নীতমালা প্রণয়ন করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। নুরুল হুদা কমিশনের মতো ভোটে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল বন্ধসহ নানা নির্দেশনা দেয়া হয়। যা প্রত্যাখান করে নির্বাচন বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেন ভোট আয়োজনকারী সংস্থাটির প্রধান।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের জন্য একটা নীতিমালা জারি করেছি। এটা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সেটা আমরা মিডিয়া থেকে জানতে পেরেছি। বিষয়টা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা যে কথাটা আপনাদের বলতে চাই, সেটা হলো কোনো ডকুমেন্ট যদি প্রয়োজন হয়, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন করা যায়। আমরা যে নীতিমালা জারি করেছি সেটা নিয়ে নিজেরদের মধ্যে আরও আলোচনা করবো। বিভিন্ন সূত্র থেকে যে সকল মতামত বা সমালোচনা আসবে বা এসেছে, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা করে দেখবো নীতিমালায় কোনো অধিকতর সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজনের কোনো প্রয়োজন আছে কিনা। সে বিষয়গুলো আমরা দেখে যথা সময়ে সিদ্ধান্ত নেবো। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতা চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেই জিনিসটা চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সব বিষয়ে একটা শৃঙ্খলা বিধানের চেষ্টা করবো। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে বাধাগ্রস্থ না হয় সেই সেই জিনিসটা মাথায় রেখেই হয়তো নীতিমালাটা করেছি। তারপরও যেহেতু আপনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজটা করবেন আপনাদের মতামতগুলো নিয়ে আমরা বসে আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো এবং আপরাদেরকে যথা সময়ে অবহিত করবো।’