বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেন এক শার্ট ৩০ বছর পরেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ২২:০৬

সাক্ষাৎকারগ্রহীতা বলেন, ‘এই যে স্যার, আপনি ছেঁড়া তালি দেয়া একটা প্যান্ট পরছেন।’ তখন জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এটা তালি খালি এতুটুকু ইয়ে হয়েছে।’ সাক্ষাৎকারগ্রহীতা ফের বলেন, ‘এই জন্য আপনি প্যান্টটা এরপরও পরছেন?’ ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এটা কী করব আমি? এই প্যান্টটা ফেলে দেব? যে দেশের মানুষ খালি পায়ে চলত, আমি তো একাত্তর সনে দেখেছি…এই আমার শার্টের বয়স প্রায় ৩০ বছর। এখন এই শার্ট যদি না ছিঁড়ে আমি কি ছিঁড়ে ফেলব?’

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও খুবই অনাড়ম্বর জীবনযাপন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি একই জামা পরেছেন দিনের পর দিন। এক সাক্ষাৎকারে তার কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন সদ্যপ্রয়াত এ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য অধিকারকর্মী।

ওই সাক্ষাৎকারগ্রহীতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘…আপনার খুবই সমৃদ্ধ একটা পরিবারে, বনেদি একটা পরিবারে জন্ম। আপনি এত সহজ-সরল জীবনযাপন করেন কেন? যদি বলি আপনার প্যান্টের কথা স্যার, আপনার প্যান্টে দেখেন ছেঁড়া একটা দাগ আছে।’

উত্তরে চায়ের কাপ হাতে থাকা জাফরুল্লাহ চৌধুরী হেসে বলেছিলেন, ‘পুরা প্যান্ট ছিঁড়ে নাই, আমি কী করব?’ এর পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষাৎকারগ্রহীতা বলেন, ‘এই যে স্যার, আপনি ছেঁড়া তালি দেয়া একটা প্যান্ট পরছেন।’ তখন জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এটা তালি খালি এতুটুকু ইয়ে হয়েছে।’

সাক্ষাৎকারগ্রহীতা বলেন, ‘এই জন্য আপনি প্যান্টটা এরপরও পরছেন?’

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এটা কী করব আমি? এই প্যান্টটা ফেলে দেব? যে দেশের মানুষ খালি পায়ে চলত, আমি তো একাত্তর সনে দেখেছি…এই আমার শার্টের বয়স প্রায় ৩০ বছর। এখন এই শার্ট যদি না ছিঁড়ে আমি কি ছিঁড়ে ফেলব?’

সাক্ষাৎকারগ্রহীতা তখন বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, ‘স্যার, এই শার্টের বয়স কত?’ হাস্যোজ্জ্বল জাফরুল্লাহর উত্তর ছিল, ‘৩০ বছর।’

এরপর প্রশ্নকর্তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতার উদ্দেশে বলেন, ‘স্যার, আপনি খুব একটা, মানে মার্ভেলাস গাড়িতে চলতে পারেন। বিএমডব্লিউতে আপনার পক্ষে সম্ভব। আপনি একদম স্বাভাবিক, ছোটখাটো একটা ভাঙাচোরা গাড়িতে চড়েন। একদম সোজা কথা। কেন?’

জবাবে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি বলেছিলেন, ‘…আমি সব রকম লাক্সারি করেছি। আমি যখন বিলেতে (লন্ডন) ছিলাম, আমার প্রাইভেট পাইলটসের লাইসেন্স ছিল। প্লেন চালানোর লাইসেন্স ছিল আমার। আমার লাইসেন্স ছিল।

‘প্রিন্স চার্লসের স্যুট বানাত যে দর্জি, সে দর্জি আমার স্যুটও বানাত। আমি কখনও বানানো স্যুট পরি নাই। সে দরজায় এসেছে, আমার মেজার (মাপ নেয়া) করেছে। সে নিয়ে এসে… লন্ডনের খুবই দামি এলাকা, সেই দর্জি এসে আমার মাপজোক নিয়ে গেছে…। এসব এখন যখন আমি দেখি, এটা একটা ছেলেমানুষি ছিল। হোয়াট অ্যা ওয়েস্ট অফ মানি (অর্থের কী অপচয়)! এই টাকা দিয়ে আমি কতজনের উপকার করতে পারতাম!’

এ বিভাগের আরো খবর