ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে দেশে নাশকতার কোনো ধরনের হুমকি নেই। তারপরও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী কোনো ঝুঁকি নেই। তবে নববর্ষের সময় অনেকেই অনেক কথা বলে থাকেন। অনেক কিছু রটানোর চেষ্টা করবেন অনেকে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করছে। আমাদের কাছে বড় কোনো তথ্য এখনও আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি, সারা দেশে কতগুলো জায়গায় ঈদুল ফিতরের জামাত হবে। আগের দিনও কয়েক জায়গায় ঈদের জামাত হয়। সেসব স্থানে যেন কোনোরকম বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সচেষ্ট থাকবে।
‘পুলিশের জরিপ অনুযায়ী প্রায় ৯৮ হাজার স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ, বিজিবি, আনসার- সবাই সক্রিয়ভাবে কাজ করবে; যাতে কোনো জায়গায় জনদুর্ভোগ না হয়।’
সভায় শাহজাহান খান এমপি ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঈদুল ফিতরের আগে সারাদেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ঈদের আগে গার্মেন্ট কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও ছুটি, সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। কোনো কর্মীকে ছাঁটাই করা যাবে না। যানজট এড়াতে পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতাদের বলা হয়েছে।
‘বঙ্গবাজারের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য ফায়ার সার্ভিস সতর্ক রয়েছে।’
আসাদুজ্জামান খান জানান, এবারের ঈদযাত্রায় মহসড়কগুলোতে মোটরসাইকেল চলবে। তবে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যেতে পারবে না। মোটরসাইকেলের জন্য মাওয়া ঘাটে ফেরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদের তিন দিন আগে থেকে ঈদের পরদিন পর্যন্ত মহসড়কগুলোতে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে।