বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:৫৯

‘দেশের সুমদ্র সীমার রায়ের পর দীর্ঘ সময় পার হলেও সমন্বিত প্রচেষ্টার অভাবে নীল অর্থনীতির অগ্রগতি তেমন একটা হচ্ছে না। নীল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে ডেল্টা উইং গঠন করা হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী নীল অর্থনীতির জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের পক্ষে নন।’

নীল অর্থনীতির অমিত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার যখন ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করে তখন মূলত নীল অর্থনীতির বিষয়টি সামনে আসে। ডেল্টা প্ল্যানে নীল অর্থনীতির জন্য পৃথক অধ্যায় রাখা হয়েছে, যেখানে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য তহবিল সংগ্রহে ‘ব্লু বন্ড’ চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইত্যেমধ্যে অনেক দেশ এ ধরনের বন্ড ইস্যু করেছে। আমরাও যখন নীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে আরও আকর্ষণীয় করতে পারব, তখন এ ধরনের বন্ড ইস্যু করা যেতে পারে।

ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের সুমদ্র সীমার রায়ের পর বহু বছর অতিবাহিত হলেও সমন্বিত প্রচেষ্টার অভাবে নীল অর্থনীতির অগ্রগতি তেমন হচ্ছে না। নীল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে ডেল্টা উইং গঠন করা হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. মো. কাওসার আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নীল অর্থনীতির জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের পক্ষে নন। তিনি জানান, কীভাবে নীল অর্থনীতির উদ্যোগগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া যায় এবং অর্থনীতিতে এর অবদান জিডিপিতে যুক্ত করা যায়, সে সম্পর্কে তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সবশেষ খানা আয় ও ব্যয় জরিপ প্রকাশ করা হবে বুধবার। এর সারসংক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী জরিপের ফল দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে কোভিড-১৯ অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও দারিদ্র্য হারের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখে তিনি সন্তুষ্ট হন।

জিডিপিতে নারীদের অবদান হিসাবের বাইরে থাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ নারীদের পারিবারিক অবদান যোগ করা হলে জিডিপি অনেক বেশি হতো।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নারীদের কাজের অবদান নির্ণয়য়ের জন্য বিআইডিএসকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে হবে না। কিন্তু তারপরের বাজেট থেকে নারীদের অবদান হিসাব করে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব ধরা হবে।

প্রকল্পে বেশি পরামর্শক না নেয়ার অনুশাসন দিয়েছেন সরকার প্রধান। অনুমোদিত প্রকল্পে একজনের বেশি পরামর্শক না নেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় বলেন, এখন থেকে আর স্লুইস গেট বানানো যাবে না। তবে যেখানে বন্যার কারণে রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে সেখানে যেন কালভার্ট করা হয়। পানির প্রবাহ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়।

একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে মঙ্গলবার ১৩ হাজার ৬৫৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ১২৯ কোটি ৮৭ লাখ ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১০ হাজার ৫২৬ কোটি ১১ লাখ টাকা যোগান দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর