নারী নিপীড়নের অভিযোগে সিলেট সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটনকে সিলেটের নাট্যাঙ্গনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের জরুরি সভায় লিটনকে সিলেটের নাট্যাঙ্গনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা। মঙ্গলবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে সম্মিলিত নাট্যপরিষদ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠক, কথাকলি সিলেট-এর সদস্য আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু ও নারীর প্রতি যৌন হেনস্থা ও কুরুচিপূর্ণ আচরণের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অডিও ক্লিপ প্রকাশ হওয়ায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটনকে নাট্যাঙ্গনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
সোমবার রাত দশটায় নাট্য পরিষদের মহড়া কক্ষে নাট্য পরিষদের নীতিনির্ধারণী পরিষদের আহবানে জরুরি সাংগঠনিক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন।
নাট্য পরিষদের পরিচালক অর্ধেন্দু কুমার দাশের পরিচালনায় সভায় সদস্য সংগঠনসমূহের লিখিত প্রস্তাব পর্যালোচনার মাধ্যমে নাট্যকর্মীদের সুরক্ষায় বিশেষ সেল ও ভিকটিম সাপোর্ট কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদভুক্ত সদস্য সংগঠন সমূহের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমিনুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অবমাননকার মন্তব্যের অভিযোগ তুলেন তার থিয়েটার কথাকলি-সিলেটেরই এক নারী কর্মী। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে আরও কয়েকজন নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিটনের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও নিপীড়নের অভিযোগ আনেন।
এরমধ্যে দুটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেগুলো আমিনুল ইসলাম লিটনের সাথে ভুক্তভোগী দুই তরুণীর আলাপ বলে দাবি করা হচ্ছে।
যদিও গত রোববার এক ফেসবুক পোস্ট আমিনুল ইসলাম লিটন এসব অভিযোগ মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন। একই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া অডিও ক্লিপ তার নয় দাবি করে বলেছেন, এগুলো তার কণ্ঠের মতো করে এডিট করা হয়েছে।
আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে সিলেটের একাধিক সংগঠন লিটনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয়।
এই আলোচনার মধ্যে গত শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় আমিনুল ইসলাম লিটনকে। লিটনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোমবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় নাগরিকবন্ধন ও সমাবেশ।