অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে দুদকের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় আদালত।
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুননেসার আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে করে দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) আবদুল লতিফ জানান, ‘আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেননি। মামলার এজাহারে থাকা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত।’
মামলার পাঁচ আসামি হলেন-কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, তৎকালীন দক্ষিণ জোনের টেকনিশিয়ান (সার্ভেয়ার) মো. দিদারুল আলম, ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও গ্রাহক মন্ত্রীর ছেলে মুজিবুর রহমান।অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ জুনে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। তবে নানা অভিযোগে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী চাকরিচ্যুত হন শরীফ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি নির্দেশনায় আবাসিক খাতে নতুন ও বর্ধিত চুলায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয় । তা অমান্য করে ওই বছরের শেষ দিকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চান্দগাঁওয়ে মুজিবুর রহমানকে নুরজাহান বেগম নামে নারীর ১৮ টি অব্যবহৃত দ্বৈত চুলা থেকে ১২ টি ও নতুন করে ১২ টি চুলার গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এই কাজ করেন।
এর তিনদিন পর চান্দগাঁওয়ের সানোয়ারা আবাসিক এলাকায় মুজিবুরের আবাসিক ভবন থেকে ২২ টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দুদক।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক মো. সারওয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপক মো. মজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে দুদক। পরবর্তীতে সার্ভেয়ার মো. দিদারুল আলমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অবশ্য তারা জামিনে বেরিয়ে যান।
এই মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে গত ৩০ মার্চ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় সংস্থাটি।