বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির নির্বাচন বিমুখতা গণতন্ত্র বিমুখতারই শামিল: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:৩৫

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়ানো বিএনপির জন্য শুভ হচ্ছে না, হয়নি। বিএনপির এই নির্বাচন বিমুখতা আসলে গণতন্ত্র বিমুখতারই শামিল।’

বিএনপির নির্বাচন বিমুখতা আসলে গণতন্ত্র বিমুখতারই শামিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়ানো বিএনপির জন্য শুভ হচ্ছে না, হয়নি। বিএনপির এই নির্বাচন বিমুখতা আসলে গণতন্ত্র বিমুখতারই শামিল।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা চাই সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ সমস্ত নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। তবে যে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেটি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

‘বিএনপির মধ্যে সবসময়ই নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা থাকে। তারা কোনো কোনো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আবার কোনো কোনোটায় অংশগ্রহণ করে নাই। এই দোদুল্যমানতাই বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবেও সিটি করপোরেশ নির্বাচনে অংশ নিতে পারতো, তাদের জন্য সেটি ভালো হতো এবং তারা তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারতো। নির্বাচন কী রকম হচ্ছে সেটিও তারা পরখ করতে পারতো।

‘আপনারা দেখেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন কী রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হবে সেটি নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছে এবং সরকার সবসময় নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করছে। সুতরাং বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেটিই তাদের জন্য মঙ্গলজনক, গণতন্ত্রের জন্যও মঙ্গলজনক।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ভারতে পিআইবিকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কোন সংবাদটা ঠিক, কোন সংবাদটা ঠিক নয়, সেটি তারা চেক করবে। যখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হবে- এই সংবাদটা ঠিক নয়, সেটি সংবাদ প্রচারকারীকে নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে হবে এবং সরিয়ে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের দেশে এ রকম কোনো ব্যবস্থা আমরা নেইনি। তার মানে এই যে, আমাদের দেশে গণমাধ্যম পার্শ্ববর্তী ভারতের চেয়েও অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করে, স্বাধীনতা ভোগ করে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতে ট্যাক্স অফিসের পক্ষ থেকে বিবিসির কার্যালয়ে কয়েকদিন ধরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আমাদের কোনো পত্রিকা কিংবা টেলিভিশনে তো ট্যাক্স অফিসের কেউ যায়নি এখনো। প্রথম আলোতেও যায়নি এখনো। যদিওবা প্রথম আলোর সাম্প্রতিক একটা রিপোর্ট নিয়ে হৈচৈ বেধেছে। এই রিপোর্টটা অবশ্যই আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে খাটো করেছে। সে কারণেই প্রথম আলো সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু অনলাইনে সরিয়ে নিলেও তো সরে না।

‘সেটি নিয়ে দেশে নানা জায়গায় মানববন্ধন হয়েছে। দেশের সবসাংবাদিক সংগঠন প্রথমবারের মতো একটি পত্রিকার রিপোর্টের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। আগে কখনো কোনো পত্রিকার রিপোর্টের বিরুদ্ধে দেশে সমস্ত সাংবাদিক সংগঠন বিবৃতি দেয় নাই, এই প্রথমবার দিয়েছে, কারণ এখানে ভুল হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রথম আলো এখনো ভুল স্বীকার করে নাই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবার যখন রমজান, ঈদ, পূজা আসে তখন আমাদের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মজুতদার দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। সরকারের নানামুখী তৎপরতা, ভোক্তা অধিকার সংস্থার নানামুখী কার্যক্রম এবং এফবিসিসিআই সোচ্চার থাকার কারণে তা রোধ করা গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর