রমজান উপলক্ষে বানানো স্বর্ণে মোড়ানো বিশেষ ধরনের জিলাপির বিক্রি আপাতত বন্ধ ঘোষণা করেছে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল কর্তৃপক্ষ।
জিলাপি বানানোর জন্য যে পরিমাণ উপকরণ অর্থাৎ খাওয়ার যোগ্য স্বর্ণ আনা হয়েছিল তা ফুরিয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সোমবার দুপুরে হোটেলটির একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আপাতত স্বর্ণের জিলাপি বিক্রি বন্ধ আছে। দুদিন আগে থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
কী পরিমাণ জিলাপি এই কয়দিনে বিক্রি হয়েছে এবং আগামীতে আবার বিক্রি শুরু হবে কি না, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু তিনি জানাতে পারেননি।
কর্তৃপক্ষ নিজেদের ফেসবুক পেজেও এই বিশেষ জিলাপি বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে ২০ হাজার টাকা কেজির এই জিলাপি পাওয়া যাচ্ছিল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। হোটেলে বসে খাওয়ার পাশাপাশি এই জিলাপির হোম ডেলিভারিও চালু ছিল এ কয়দিন।
তবে একজন ক্রেতার চাইলেই এক পিস বা অল্প পরিমাণ স্বর্ণের জিলাপি কেনার সুযোগ ছিল না। ন্যূনতম আধা কেজি বিক্রির ঘোষণা দেয়া হয় এই বিশেষ জিলাপি।
ইন্টারকন্টিনেন্টালের জুনিয়র অ্যাসোসিয়েট মো. মনির নিউজবাংলাকে তখন বলেন, ‘কমপক্ষে আধা কেজি কেনা যাবে জিলাপি। সে ক্ষেত্রে দাম পড়বে ১০ হাজার টাকা।’
তখন মনির বলেন, ‘যে কেউ চাইলে হোম ডেলিভারিও দেয়া হবে স্বর্ণের জিলাপি। এ জন্য ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।’
হোটেল কর্তৃপক্ষ এক ফেসবুক পোস্টেও স্বর্ণের জিলাপি বিক্রির তথ্য নিশ্চিত করে। ওই পোস্টের সঙ্গে দেয়া হয় এ বিশেষ জিলাপির ছবিও।
গহনা হিসেবে ব্যবহারের পাশাশি আরেক ধরনের বিশেষ স্বর্ণ খাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। ইন্টারকন্টিনেন্টাল সেই স্বর্ণই ব্যবহার করেছে এই জিলাপিতে। ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ দিয়ে মোড়ানো জিলাপিতে প্রতি কেজিতে দেয়া হয় খাবার উপযোগী স্বর্ণের ২০ থেকে ২২টি লিফ বা পাতলা পাত।
অবশ্য দেশে স্বর্ণ দিয়ে খাবার তৈরির ঘটনা এটিও প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে স্বর্ণে মোড়ানো আইসক্রিম বিক্রি করে হইচই ফেলেছিল রাজধানীর বনানীর পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা।