বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরাবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন নিহত মামুনের বোনসহ ৪ জন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৭:৫১

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল বিন আতিকের আদালতে রোববার মামুন ইমরানের বোন রওশন আক্তার, বোন জামাই মোশারফ হোসেন খান, মামুন যে বাসায় খুন হন সেই বাসার কেয়ারটেকার মিরাজুল ইসলাম ও সিকিউরিটি গার্ড মানিক সাক্ষ্য দেন।

পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় দুবাই প্রবাসী আলোচিত ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন নিহতের বোনসহ চারজন। ২ মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ঠিক করেছেন বিচারক।

রোববার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল বিন আতিকের আদালতে মামুন ইমরানের বোন রওশন আক্তার, বোন জামাই মোশারফ হোসেন খান, মামুন ইমরান যে বাসায় নিহত হন সেই বাসার কেয়ারটেকার মিরাজুল ইসলাম ও সিকিউরিটি গার্ড মানিক সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।

জেরা শেষে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ঠিক করে আদালত।

মামলাটিতে ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

মামলার আসামিরা হলেন- রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মিজান শেখ, আতিক হাছান ওরফে দিলু শেখ, সুরাইয়া ওরফে কেয়া, সারোয়ার হোসেন ও রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খান।

এদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ও সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক। বাকি ৬ আসামি কারাগারে।

এই মামলার দুই আসামি মেহেরুন্নেছা স্বর্ণা ওরফে আফরিন ও মোছা. ফারিয়া বিনতে মিম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভিন্ন অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তাদের বিচার শিশু আদালতে চলছে।

২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাতে বনানীর একটি অ্যাপার্টমেন্টে ভিকটিম মামুন ইমরান খানকে ডেকে এনে মারধর করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১০ জুলাই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন উলখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশে বাঁশ ঝোপে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় ১০ জুলাই নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে রহমত উল্লাহ নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, মামুন ইমরান খান টেলিভিশনের বিভিন্ন ক্রাইম সিরিয়ালেও অভিনয় করতেন। রহমতউল্লাকে তার বাসায় জন্মদিনের দাওয়াত দেন আসামি আফরিন।

রহমতউল্লাহ ওই অনুষ্ঠানে পুলিশ বন্ধু মামুনকেও যাওয়ার অনুরোধ করেন। আর সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েই খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।

এরপর তার মরদেহ গুম করতে বস্তায় ভরে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কালীগঞ্জের জঙ্গলে পেট্রোল দিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

ওই বছরের ১০ জুলাই বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে রহমতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামুন ইমরান খানের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকোপা এলাকায়। তিনি ২০০৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।

এ বিভাগের আরো খবর