রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে জামিন দিয়েছে আদালত।
রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শামসুজ্জামান। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ৩ এপ্রিল তিনি রমনা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পান।
সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ২৯ মার্চ আটক করা হয় শামসুজ্জামানকে। পরে তাকে তেজগাঁ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে একই আইনে দ্বিতীয় মামলা হয় রমনা থানায়।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একজন শ্রমিকের ক্ষোভের বার্তা ছিল। ওই প্রতিবেদনটিতে স্মৃতিসৌধে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজ মিয়ার বক্তব্য ছিল। একই প্রতিবেদনে জাকির হোসেন নামে দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’
প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে ফটো কার্ড ছাপা হয়েছিল। এতে উদ্ধৃতিটি ছিল দিনমজুর জাকিরের আর ছবি ছিল ফুল বিক্রেতা সবুজের। ওই পোস্টে ছবি, উদ্ধৃতির এ গরমিলের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে সংশোধনী দেয় সংবাদমাধ্যমটি।
এ নিয়ে বেসরকারি একাত্তর টিভিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এ ধরনের সংবাদের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো।