আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকার যদি পদত্যাগ করে তাহলে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপটা করবে কে?’
শনিবার রাজধানীর মিরপুরে সিদ্ধান্ত স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।
সরকারের পদত্যাগ করে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার যদি পদত্যাগ করে তাহলে সংলাপ করবে কে? এ প্রশ্নের উত্তরটা মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে জানতে চাই। উদ্ভট, আবোল-তাবোল কথা বলছে বিএনপি।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আগুন-সন্ত্রাস করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত বিএনপি। তারাই যখন আগুনের কথা বলে তখন আমাদের কাছে মনে হয়- ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনি।
‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগুনের কথা বলেন। এ দেশে তারাই আগুন-সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। এখন দেশে আগুন নিয়ে যে নাশকতা চলছে তার সঙ্গেও বিএনপি জড়িত। বিএনপির অতীত ইতিহাস নাশকতার ইতিহাস।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসে না। ভাটার টান এসে গেছে। রমজানের দিনে ৩৬৫টি কর্মসূচি দিয়ে বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ ও অবরোধ করে মানুষকে কষ্ট দেয়া বিএনপির রাজনীতি গণবিরোধী।
‘বিএনপির পদযাত্রা নীরব যাত্রা। মানুষ বলে মরণ যাত্রা। এখন বিএনপির আন্দোলন মাটিতে নেমে গেছে, তার নাম অবস্থান কর্মসূচি। এই আন্দোলন পাবলিক খায় না, এই আন্দোলনে জনগণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘৫২ দল শুনেছি, এখন পাঁচ হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও বিএনপির শরিকদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোথায় ২৭ দফা? রাষ্ট্র নাকি মেরামত করবে? এই রাষ্ট্র মেরামত করেছেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র যারা ধ্বংস করে তারা মেরামত করতে পারে না।’
ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘কত নালিশ, কূটনীতিকদের পাড়ায় পাড়ায় বিএনপি নেতাদের পদচারণা! এমনকি জাতিসংঘের কাছে নালিশ! কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা জাতিসংঘের কাজ নয়। এর আগে মির্জা ফখরুল জাতিসংঘের দুয়ারে ঘুরেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবকে পাননি, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে খালি হাতে ফিরেছেন।
‘তারা যাদের কাছে নালিশ করবে তাদের হাতে সালিশ করার ক্ষমতা নেই। লজ্জা শরম থাকলে তারা আর আন্দোলনের কথা মুখে আনতেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে শেখ হাসিনার সরকার। নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তাদের মতলব আসলে নৈরাজ্য আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন ভণ্ডুল করা। নির্বাচনে না এলে জোর করে আনতে পারব না। কিন্তু নির্বাচনে বাধা দিতে এলে প্রতিরোধ করা হবে।’
দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
পরে সুবিধাভোগীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।