বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে ভোগান্তি

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:১৩

‘ঈদযাত্রায় রেলের অগ্রিম টিকিটপ্রত্যাশীদের চাপ বেশি থাকায় সার্ভারে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণেই টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।’

শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাওয়া যাচ্ছে ১৮ এপ্রিলের টিকিট। তবে গতকাল শুক্রবার অনলাইনে টিকিট কাটতে ভোগান্তির খবর না পাওয়া গেলেও শনিবারের দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। অনলাইনে টিকিট কাটতে গিয়ে সার্ভারে ঢুকতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকে। তাই যথাসময়ে টিকিট কাটতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

সার্বিক বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘ঈদযাত্রায় রেলের অগ্রিম টিকিটপ্রত্যাশীদের চাপ বেশি থাকায় সার্ভারে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণেই টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। রেলের অ্যাপে প্রতি মিনিটে অন্তত ১০ লাখ ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া প্রতি মিনিটে টিকিট বিক্রি করা যায় আট হাজার। কিন্তু আজ টিকিটপ্রত্যাশীদের চাপ অনেক বেশি। আজ অন্তত ১৩ লাখ ভিজিটর একবারে প্রবেশ করছেন, এ কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।’

শনিবার সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবারের চেয়ে এ দিন টিকিটের চাহিদা বেশি থাকায় সার্ভারে ঢুকতে সমস্যা দেখা দেয়। তাই টিকিট কাটতে না পেরে অনেকে কমলাপুর স্টেশনে কাউন্টারের সামনে ভিড় করছেন বলেও জানা যায়।

সার্ভার জটিলতায় ‘রেলসেবা’ অ্যাপে ঢুকতে পারেননি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জানিয়েছে অনেকে। অনেকে আবার অ্যাপে ঢুকতে পারলেও টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করার পরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হচ্ছে, পরবর্তী ধাপে সিলেক্ট হলেও টিকিট কেনা হয়নি অনেকের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রেলের ফ্যান ফোরাম নামে একটি গ্রুপে কবিরুজ্জামান নামের একজন লিখেছেন, ‘আমি আজ সকাল ৮টা থেকেই ট্রাই করছি, সিট বুক করতে পারি নাই, ১০টার দিকে হাল ছেড়ে দিছি। ২-৩টা ট্যাব খুলেও ট্রাই করছি। টিকিট ফাঁকা আছে, কিন্তু সিটে ক্লিক করলে বুকিং হয় না, প্রায় ২ মিনিট অপেক্ষা করছি, কিন্ত টিকিট বুকই হয় না।’

এ বিষয়ে ট্রেনের টিকিট বিক্রির অপারেটর সহজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সন্দীপ দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের সার্ভারের কোনো জটিলতা পাইনি। কারণ যাত্রীরা অনলাইনে টিকিট কাটতে পেরেছেন। যদি সার্ভারের সমস্যা থাকত তাহলে, যাত্রীরা টিকিট কাটতে পেতেন না। টিকিট কম চাহিদা বেশি ফলে সবাই টিকিট পাবেন না।’

ট্রেনে প্রতিদিন বিক্রি করা হবে ২৫ হাজার ৭৭৮টি টিকিট। শনিবার দেয়া হলো ১৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। আগামী সোমবার বিক্রি করা হবে ১৯ এপ্রিলের টিকিট, ১০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২০ এপ্রিলের টিকিট এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২১ এপ্রিলের টিকিট।

এ বিভাগের আরো খবর