বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬ মাসের পরিকল্পনায় আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:০২

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা শিখাকে গ্রেপ্তারের আগে পরিকল্পনা ও পালিয়ে যাওয়ার বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছিলাম না। শিখাকে গ্রেপ্তারের পর আমরা কোন দিক দিয়ে পালিয়েছে, তা জানতে পেরেছি।’

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার আগে ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা হয় জানিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বলেছে, পরিকল্পনার কথা জেলে থাকা জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দেন ফাতেমা তাসনীম শিখা।

সিটিটিসির ভাষ্য, জঙ্গি ছিনতাইয়ের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছেন শিখা। তিনি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির একজন আবু সিদ্দীক সোহেলের স্ত্রী।

শিখা ও তাকে আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার হুসনাকে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি জানান, পলাতক দুই জঙ্গি দেশেই রয়েছে, যাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা শিখাকে গ্রেপ্তারের আগে পরিকল্পনা ও পালিয়ে যাওয়ার বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছিলাম না। শিখাকে গ্রেপ্তারের পর আমরা কোন দিক দিয়ে পালিয়েছে, তা জানতে পেরেছি।’

পুলিশ জানায়, আদালত থেকে জঙ্গিরা সদরঘাট হয়ে একটি শেল্টার হাউসে অবস্থান নেন। সেখান থেকে অন্য জায়গায় পালিয়ে যান তারা। আর আদালত চত্বর থেকে শিখাসহ অন্যরা বিকল্প রাস্তা দিয়ে এলাকা ছাড়েন।

সিটিটিসি জানিয়েছে, ফাতেমা তাসনীম শিখা ২০১৪ সালে এমআইএসটি থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। একপর্যায়ে তার ভাই মোজ্জাম্মেল হোসেন সাইমনের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামের আদর্শে দীক্ষিত হন। পরবর্তী সময়ে সায়মনের মাধ্যমে আবু সিদ্দীক সোহেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

সিটিটিসি আরও জানায়, সোহেল আনসার আল ইসলামের সামরিক (আসকারি) শাখার সদস্য ছিলেন। সোহেলের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে শিখা আরও গভীরভাবে সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৭ সালে মুক্তমনা ব্লগার অভিজিত রায়, ফয়সল আরেফিন দীপন ও নীলাদ্রি নিলয় হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আবু সিদ্দীক সোহেল গ্রেপ্তার হন।

২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম কোর্ট ভবনের সামনে থেকে মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত এবং মো. আবু সিদ্দীক সোহেলকে ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান জঙ্গিরা।

এ বিভাগের আরো খবর