আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জোটে ডান-বাম, অতি ডান, অতি বাম সবাই আছে। সে কারণে অ্যামিবার মতো তাদের জোট কখনও ছোট আবার কখনও বড় হয়। পাশাপাশি দলটির ভেতরেও অনেক ধারা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি জোটের সবাইকে নিয়ে আন্দোলনের ঘোষণাপত্র দেয়ার চেষ্টা কেন সফল নয়- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিতে ডান-বাম, অতি ডান, অতি বাম সবই আছে। সবাইকে একত্রিত করে ঘোষণাপত্র দেয়া তো কঠিন। বিএনপির মধ্যে আবার কয়েকটি ভাগ, চেয়ারপারসনের ধারা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের ধারা, মির্জা ফখরুল সাহেবের ধারা, সংস্কারপন্থীদের ধারা- সব ধারাকে এক করা সেটিও কঠিন কাজ।
‘অ্যামিবার আকার যেমন মাঝে-মধ্যে বড় হয় আবার ছোট হয়, বিএনপির জোটও হচ্ছে সেরকম। দেখা গেল ২২ দলীয় জোট ছিলো, হলো ১২ দলীয় জোট; আবার কয়েকদিন পরে শুনি তারা ৫৪ দলীয় জোট। এজন্য তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই আইন দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে। আর আমাদের এই আইন আমেরিকার আইনের চেয়ে অনেক সহজ।
‘ইউরোপীয় ইউনিয়নও ২০২২ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তার নতুন আইন করেছে এবং প্রায় সব দেশেই এই আইন আছে। অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও আমাদের চেয়ে কঠিন।
‘সুতরাং এই আইন বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। তবে এতে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে অবশ্যই নজর দেয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অনেক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আরও কী কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটি আইন মন্ত্রণালয় দেখছে। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি।’
এর আগে ক্র্যাবের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘খেয়াল রাখাতে হবে, রিপোর্টিং করতে গিয়ে যেন কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়। দেখা যায়, অনেক সময় রিপোর্ট হয়, বাস্তবে লোকটা সে ক্ষেত্রে অপরাধী নয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি, ক্রাইম রিপোর্টারদের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ একান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।’
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক রুদ্র মিজান, অর্থ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল আহমেদ, দফতর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এস এম ফয়েজ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আবু জাফর, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু, কল্যাণ সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. তানভীর হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, জসীম উদ্দীন ও এনামুল কবীর রূপম সভায় অংশ নেন।