বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতার নামে ধর্ষণ মামলা

  • প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল   
  • ৬ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:০৭

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমানকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির নামে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক কিশোরী।

ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলাটি করা হয়। মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে। গোলাম কিবরিয়া টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই এবং টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমানকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট লুৎফুন্নাহারকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড করা হয়েছে। এই বোর্ড ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করবে।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, গোলাম কিবরিয়া তার আত্মীয় ও পূর্বপরিচিত। হোয়াটসঅ্যাপে তাদের দুজনের যোগাযোগ ছিল। সম্প্রতি পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের বিষয়টি গোলাম কিবরিয়াকে জানানোর পর তিনি সমস্যার সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দেন।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়া শহরের আদালত পাড়ায় নিজের বাড়ির পাশের একটি ভবনে ওই কিশোরীকে ডেকে নেন। সেখানে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে গোলাম কিবরিয়া তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে তাকে ধর্ষণ করে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখা হয়। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য গোলাম কিবরিয়া তাকে ভয়ভীতি দেখান।

আপত্তিকর ওই ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলায় ওই কিশোরী উল্লেখ করেন, একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি গোলাম কিবরিয়া জানার পর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এতে রাজি না হওয়ায় ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে গোলাম কিবরিয়া ওই কিশোরীকে জবরদস্তি আদালতপাড়ার একটি বাড়িতে যান। সেখানে একটি কক্ষে তাকে তালাবদ্ধ করে রেখে গোলাম কিবরিয়া আবারও ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনার পর গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাব ওই কিশোরীকে মারধর করেন। পরে রাত ৩টার দিকে ওই কিশোরীকে বাড়িতে রেখে আসা হয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার জন্য মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে ওই কিশোরী এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার নামে এই মামলা করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর