সরকারি নথি চুরির অভিযোগে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ২১ মে দিন ঠিক করেছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুরের আদালতে বৃহস্পতিবার মামলাটির অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ঠিক করা হয়েছিল, কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় নতুন দিন ঠিক করেন বিচারক।
২০২২ সালের ৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
এরপর চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলার বাদী শিব্বির আহমেদ ওসমানী ডিবির দেয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। আদালত নারাজি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমার তারিখ দেন।
২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁঞার কক্ষে রোজিনা ইসলামকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়। এরপর অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে রোজিনার নামে মামলা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারা এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় মামলাটি করা হয়। এতে একমাত্র আসামি করা হয় রোজিনা ইসলামকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, ২০২১ সালের ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁঞার কক্ষে ঢুকে ‘ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ফাইল’ সরিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন রোজিনা ইসলাম।