নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে একজন জেলা জজের নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তদন্ত কমিটিতে জেলা ও দায়রা জজ ছাড়াও নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে রাখতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ নির্দেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে কোনো ফৌজদারি মামলা না থাকা সত্ত্বেও শুধু মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নারীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
পাশাপাশি জেসমিনকে তুলে নেয়ার ঘটনায় জড়িত র্যাব সদস্যদের র্যাব হেডকোয়ার্টারে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সুলতানা জেসমিন। ফাইল ছবি
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ মোর্শেদ।
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। তার আবেদনের বিষয়টি আমলে নিয়ে ২৮ মার্চ র্যাবের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট।
র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেসব প্রতিবেদনে বলা হয়, নওগাঁয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেফাজতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। র্যাব জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা সুলতানা জেসমিন নামে ওই নারীকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিনের মৃত্যু হয়। তার আগে ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে ওই নারীকে আটক করে র্যাব।
সুলতানা জেসমিন সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি।