তিনটি সংস্থা প্রায় পাঁচ বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও সিদ্ধেশ্বরীর ‘লিলি প্লাজা’ নামের ভবনের মালিকরা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক আইনজীবী।
তার ভাষ্য, ভবনটির কয়েকটি ফ্লোর বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করছেন মালিকরা। সরকারের পক্ষ থেকে চাপ দেয়ায় ২০২২ সালে ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণে জন্য ভিভো বিল্ডার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন বর্তমান মালিক মোসলেমা আক্তার মির্জা ও তার সন্তানরা। পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মাধ্যমে চুক্তির ৬ কোটি টাকার মধ্যে দুই কোটি টাকা বুঝে নেন তারা, কিন্তু এখন পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভাঙতে দিচ্ছেন না তারা।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে উল্লিখিত বক্তব্য দেন ভিভো বিল্ডার্সের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মনসুর। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. জুয়েল মুন্সীসহ অনেকে।
লিখিত বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেন, জরাজীর্ণ হওয়ায় ২০১৯ সালে ৯৩ নিউ সার্কুলার রোড সিদ্ধেশ্বরীর লিলি প্লাজা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে রাজউক, সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। একটি সাইন বোর্ডও লাগিয়ে দেয় সিটি করপোরেশন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ভবন মালিককে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয়। এরপর লিলি প্লাজার বর্তমান মালিক ও তার সন্তানরা ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন করার জন্য ভিভো বিল্ডার্সের সঙ্গে ৬ কোটি টাকা সাইনিং মানি হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন, যার মধ্যে দুই কোটি টাকা তাকে দেয়া হয়, কিন্তু অদ্যাবধি তিনি এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে তার ভাড়াটিয়া সরাচ্ছেন না। উল্টো ভিভো বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন, যাতে করে চুক্তির দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করে জরাজীর্ণ ভবন থেকে আয় করতে পারেন।
আইনজীবী আরও বলেন, ভিভো বিল্ডার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকার পরও প্রতারণা করে নতুন কোনো কোম্পানির সঙ্গে ফের টাকা নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন ভবন মালিক।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানান ভিভো বিল্ডার্সের আইনজীবী।