রাজধানীর বঙ্গবাজারে মঙ্গলবার সকালে ধরা আগুন ওই দিন দুপুরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি।
বঙ্গবাজারের ধ্বংসস্তূপ ও অ্যানেক্সকো টাওয়ারের পঞ্চম তলা থেকে বুধবার সকালেও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট। বাহিনীর কর্মীরা এই মুহূর্তে ধোঁয়া বের হওয়া স্থানগুলোতে পানি ছিটানোর কাজ করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী বলেন, ‘ভেতরে কাপড়ের গোডাউন (গুদাম) রয়েছে, ওখান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে পানি ছিটানো হচ্ছে।’
বুধবার সকালে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের অ্যানেক্সকো টাওয়ারের পূর্ব দিকে পঞ্চম তলায় এবং চার তলার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন। আগুন যেন আবার জ্বলে না ওঠে বা ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য পানি ছিটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এ সময় অনেককে মালামাল বের করতে দেখা যায়।
ফারুক নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অ্যানেক্সকো টাওয়ারের ওপরে শুধু কাপড়ের দোকান ও গুদাম। সেখানে অনবরত ধোঁয়া বের হচ্ছে। অবশিষ্ট মালামালের ক্ষতি যেন কম হয় তাই পানি দিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।’
সংখ্যায় বঙ্গবাজারের আগুন
আগুন ধরার তারিখ: ৪ এপ্রিল, ২০২৩
আগুন লাগার সময়: ফায়ার সার্ভিস খবর পায় সকাল ৬টা ১০ মিনিটে
প্রথম ইউনিট পৌঁছার সময়: সকাল ৬টা ১২ মিনিট
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ইউনিটের সংখ্যা: ৪৮
আগুন নিয়ন্ত্রণের সময়: দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিট
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের সংখ্যা: বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির দাবি অনুযায়ী, প্রায় ৫ হাজার
আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি: বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির দাবি অনুযায়ী, আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চেয়েছে সমিতি।
আগুনে আহত ফায়ার সার্ভিস সদস্য: আটজন, যাদের মধ্যে দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ার কারণ: ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনটি। এগুলো হলো পানির অভাব, বাতাস ও উৎসুক জনতা।
তদন্ত কমিটি: একটি, যার সদস্য পাঁচ