সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হওয়া মামলার রায় বুধবার(আজ) ঘোষণা করা হবে।
সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লবের আদালতে এ রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। গত ১৪ মার্চ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক নূরুল আমীন বিপ্লব।
মামলায় অভিযুক্ত তিন জেএমবি সদস্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার বাইশারীর ২৯ বছর বয়সী জহুরুল হক ওরফে জসিম, ২৮ বছর বয়সী মো. হাসান ও জহরুল হক ওরফে জসিমের স্ত্রী ২১ বছর বয়সী আর্জিনা ওরফে রাজিয়া সুলতানা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এ তথ্য জানিয়ে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মুমিনুর রহমান বলেন, ‘গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পরে ১৪ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক। মামলায় ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ রাত থেকে আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু হয়। অভিযানে র্যাব, পুলিশ, পুলিশের বিশেষ ক্রাইম রেসপন্স টিম (সিআরটি), সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল অংশ নিয়েছিল। সেনাবাহিনীর পরিচালিত ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শেষে ভবনের ভেতর থেকে এক নারীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অপারেশন চলাকালে আতিয়া মহল থেকে কিছু দূরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, দুই পুলিশ সদস্যসহ সাতজন নিহত হয়েছিলেন।
আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শেষে তিনটি মামলা করা হয়। মামলার প্রথম দিকে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত ভার নেয়। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হওয়া মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পিবিআই। অভিযোগপত্রে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
পরে ওই বছরই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আলাদা জঙ্গিবিরোধী অভিযানে জহুরুল ও তার স্ত্রী আর্জিনা এবং কুমিল্লার চান্দিনা থেকে মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাদেরকে আতিয়া মহলের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অন্যদিকে বোমা বিস্ফোরণ ও হত্যার ঘটনায় হওয়া দুটি মামলায় ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। প্রতিবেদনে মামলা নিষ্পত্তির আবেদন করা হয়েছিল।