বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগুন থেকে দোকানের পণ্য উদ্ধারের নামে লুট

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:৫০

বঙ্গবাজার সংলগ্ন মহানগর কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী নুর আলম মহিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দোকান থেকে কোনোরকমে দুই বস্তা মাল বের করে পাশের এই রাস্তায় নিয়ে আসি। আর কিছু মাল মানুষ লুট করে নিয়ে গেছে। আর বাকি সবটাই পুড়ে গেছে।’

বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সময় কিছু দোকানের মালামাল লুট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগুনে হাজারো দোকান ভষ্মীভূত হওয়ার সময় এক শ্রেণির মানুষ লুটপাট চালিয়েছে।

বঙ্গবাজার সংলগ্ন মহানগর কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী নুর আলম মহিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাসা এই বঙ্গবাজারের পেছনেই। বাসা থেকে মার্কেট দেখা যায়। সকালে আমার এক বন্ধুর ফোন পেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখি মার্কেটে আগুন জ্বলতেছে। দৌড়ে এসে আমার দোকানের মাল বের করতে গিয়ে দেখি দোকানের চাবি বাসায় ফেলে এসেছি। তখনও আমার দোকানে আগুন লাগে নাই।

‘আমি আবার বাসায় দিকে দৌড় দেই। এরপর বাসা থেকে চাবি এনে দোকানে এসে দেখি আমার দোকানে আগুন জ্বলছে। তখন দোকান থেকে কোনোরকমে দুই বস্তা মাল বের করে পাশের এই রাস্তায় নিয়ে আসি। আর কিছু মাল মানুষ লুট করে নিয়ে গেছে। আর বাকি সবটাই পুড়ে গেছে।’

মহানগর শপিং কমপ্লেক্সের আরেক ব্যবসায়ী আজমল বলেন, ‘যে যার মতো দোকানের গাইট (কাপড় বোঝাই বড় বস্তা) বের করে নিয়ে গেছে। দোকানদারদের সঙ্গে বাইরের মানুষও ঢুকছে। কে কারটা নিচ্ছে তা বোঝার উপায় নেই।’

বঙ্গবাজারে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বলেন, ‘এখানে প্রচুর মানুষ। ব্যবসায়ী, দোকানদার ছাড়া বাইরেরও অনেক মানুষ আছে। ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট থেকে দোকানদাররা যাতে দ্রুত সময়ে মালামাল বের করতে পারে সেজন্য আমরা, বিজিবিসহ অন্যদের সহায়তায় লাইন করে দিয়েছি। এখানে কার দোকানের কাপড় কে নিয়ে বের হচ্ছে, তা নিশ্চিত করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।’

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ডিএমপি কমিশনার। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেন তারা।

ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাতে দোকানের মালামাল বের করে আনতে পারেন এবং কোনো মালামাল যাতে খোয়া না যায় সে ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করছে পুলিশ। এছাড়াও আশপাশ এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ।

বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির ৫টি ওয়াটার ক্যানন ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের রিজার্ভ পানি ব্যবহার করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর