গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ করে ২ মে রায়ের জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
তবে এসময়ের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচনে তার মনোনয়নপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে তা দেখবে বলে মৌখিকভাবে আশস্ত করেছে আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এ সময় জাহাঙ্গীরের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, ২ মে রায়ের তারিখ ধার্য করায় এদিকে আগামী নির্বাচনের মনোনয়ন জমার সময় শেষ হয়ে যাবে। আর তখন জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
তখন হাইকোর্ট বলে, যেহেতু ৬ এপ্রিল থেকে সুপ্রিম কোর্টের ভ্যাকেশন (ছুটি) শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ এপ্রিল। তাই আমরা পরবর্তী শুনানি ও রায়ের জন্য ২ মে ঠিক করেছি। তবে এ সময়ের মধ্যে তার মনোনয়ন দাখিলের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে দেখবে বলে জানায় আদালত।
আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। আর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সানজিদা খানম।
এদিকে জাহাঙ্গীর আলমের রিটের শুনানি ও রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সুপ্রিমকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে শত শত সমর্থক উপস্থিত হন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে গত বছরের ১৪ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। সেই রিটের শুনানি নিয়ে ২৩ আগস্ট রুল জারি করে আদালত। এরপর গত ১৫ মার্চ সেই রুলের শুনানি শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
এর আগে ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম।