রাজধানীর বঙ্গবাজারে মঙ্গলবার সকালে আগুন ধরার পর বিভিন্ন দোকানের মালিকরা তাদের মালামাল বের করতে ব্যস্ত সময় পার করেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যান। এমন বাস্তবতায় উৎসুক শত শত মানুষকে সামাল দিতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, উৎসুক লোকজনের মোবাইলে লাইভ দেয়া, দৌড়াদৌড়িতে পানির পাইপ টানা থেকে শুরু করে সব কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের বাগ্বিতণ্ডাও হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরপর বাঁশি বাজিয়ে, লাঠি নিয়ে তেড়ে এসে উৎসুক জনতাকে সরাতে হচ্ছে।
বঙ্গবাজারের আগুন দেখতে আসা মো. কালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গুলিস্তানে একটা কাজে এসেছিলাম। তাই আগুন দেখতে এসেছি।’
কামালের মতো এমন ১০ জনকে জিজ্ঞাসা করে একই উত্তর পাওয়া যায়। সবার একটাই কথা, এসেছেন আগুন দেখতে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে বেশ কয়েকটি মার্কেট রয়েছে, যার মধ্যে শত শত দোকান। এই দোকানের মালিক-কর্মীরা মিলে যে যতটুকু পেরেছে, মাল বের করেছে। এত মানুষের মধ্যে আবার হাজার হাজার উৎসুক জনতা।
‘আমরা আগুন নেভাতে সাহায্য করব না এই জনতা সরাব, বলেন? হাতজোড় করে অনুরোধ করেও এদের সরানো যাচ্ছে না।’
বঙ্গবাজারে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ৬টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। একে একে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় বাহিনীর ৫০টি ইউনিট।