রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে সকালে লাগা আগুন জ্বলছে এখনও। ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটর এই আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
পানির অভাবে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। আশপাশ থেকে বহন করে আনতে হচ্ছে পানি। কাপড়ের মার্কেট হওয়ায় দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে আগুন।
কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে এই আগুনের খবর পেয়ে ৬টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একে একে যোগ দেয় ৪৮টি ইউনিট।
আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত সাহায্যকারী দল, বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার কাজ করছে এবং নৌবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে ও উদ্ধারে অংশ নিয়েছে।
আর র্যাব জানিয়েছে, ঢাকার সব ব্যাটালিয়ন ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৮টি টহল দল এবং সাদা পোশাকে ছয়টি দল ঘটনাস্থলে যোগ দিয়েছে।
টিন ও কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা বঙ্গবাজার দেশের অন্যতম বড় কাপড়ের মার্কেট। ঈদের আগে এমন ভয়াবহ আগুন ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন করল বলে জানিয়েছেন তারা।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বলছেন, যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন, সে পরিমাণ পানি নেই। বঙ্গবাজারে আশেপাশের পানির উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফায়ার সারভিসের একজন সদস্য বলেন, পানির অভাবে আমাদের কাজে বেগ পেতে হচ্ছে। রমনা পার্ক, পুলিশ সদরদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল থেকে পানি আনা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তর, ওয়াসা এবং সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর গাড়ি দিয়ে পানি দেয়া হচ্ছে।
বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে রমনা পার্কের লেক থেকে পানি সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
আগুন লাগার কারণ এবং এতে কারো হতাহতের খবর এখনও জানা যায়নি। উদ্ধারকারীরা এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি।
মার্কেটের বাইরে অনেক দোকানিকে চিৎকার করে কাঁদতে দেখা গেছে। দোকান পুড়েছে তাদের। অনেকেই হারিয়েছেন ব্যবসায়ের শেষ সম্বলটুকু। বঙ্গবাজারের আশপাশে সব রাস্তাবন্ধ করে দেয়া হয়েছে।