নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের ছেলে সৈকত ও বোনজামাই আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাবের একটি তদন্ত দল।
সোমবার নওগাঁ সার্কিট হাউজের একটি কক্ষে বেলা পৌনে ১টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের পর জেসমিনের বোনজামাই আমিনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গত ২২ মার্চ জেসমিনকে গ্রেপ্তারের পর নওগাঁ হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া ও তার মৃত্যু পর্যন্ত যেহেতু আমি ও তার ছেলে সৈকত ছিলাম। এ সময়ের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তার বর্ণনা আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। র্যাবের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে যে, এই মৃত্যুর বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করা হচ্ছে।
নিহত সুলতানা জেসমিনের ছেলে সৈকত বলেন, মায়ের মৃত্যুতে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে আমার পোড়াশোনা। কিন্তু মায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঠিকঠাক করে যাব।
তবে এবিষয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে সোমবার দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের প্রধান ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান কফির উদ্দিন জানান, র্যাব হেফাজতে কোনো আঘাতে নয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে।
৪৫ বছর বয়সী সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের অভিযোগে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র্যাব তাকে আটক করে।
আটকের চার ঘণ্টা পর জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।