চট্টগ্রামে নিখোঁজ দুই কন্যা শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা ও জান্নাত আক্তারকে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। রোববার রাতে নগরীর হালিশহর থানার সিএমবি ও খুলশীর মাষ্টার লেইন এলাকা থেকে সিএনপির পৃথক অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুর ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা স্পিনা রানী প্রামাণিক।
উদ্ধার দুই শিশু হলো হালিশহরের রামপুরা এলাকার মো.আলমগীরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা এবং খুলশী সেগুন বাগান এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে জান্নাত আক্তার। তাদের দুজনের বয়স ৯ বছর।
স্পিনা রানী জানান, ২৮ মার্চ পড়াশোনার জন্য বকা দেয়ায় হালিশহরের রামপুরা এলাকার বাসা থেকে অভিমান করে বের হয়ে যায় মাইশা। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরদিন হালিশহর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুটির মা পারভীন আক্তার।
এই ঘটনায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাহাদুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়।
স্পিনা রানী বলন, ‘রোববার রাতে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় পাওয়া তথ্যে নগরীর হালিশহরের সিএমবি এলাকার বাসিন্দা ৩১ বছর বয়সী মোহাম্মদ টিপুর হেফাজত থেকে মাইশাকে উদ্ধার কর হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ টিপু জানান, ২৮ মার্চ রাত নয়টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে তার পিছু নেয় শিশু মাইশা। এসময় নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে জানাতে পারেনি শিশুটি। আশেপাশে খোঁজ করেও শিশুটির কোনো স্বজন না পেয়ে নিরাপত্তার জন্য বাসায় নিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে ওই শিশুর স্বজনদের খোঁজ করেও ব্যর্থ হন তিনি।’
এদিকে ২৭ মার্চ রাত নয়টার দিকে নগরীর খুলশী থানার সেগুন বাগান এলাকার ভাইয়ের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় ৯ বছর বয়সী আরেক শিশু জান্নাত আক্তার। শিশুটির মা মারা যাওয়ায় ভাইয়ের বাসায় থাকতো। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে পুলিশকে জানায় জান্নাতের ফুফাতো বোন বিলকিস বেগম।
স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে খুলশী থানার মাষ্টার লেইন এলাকার বাসিন্দা রেলওয়ে কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসা থেকে জান্নাতকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, জান্নাতের মা না থাকায় বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। তাই ভাইয়ের বাসায় থাকতো জান্নাত। জান্নাতের খালাতো বোন সাজু আক্তারের ধারণা ভাইয়ের বাসায় জান্নাতের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হতো না। তাই তাদের না জানিয়ে রেহানার সঙ্গে জান্নাতের লালন-পালনের বিষয়ে কথা বলেন। রেহানা জান্নাতকে নিতে রাজি হলে তার বাসায় দিয়ে আসেন সাজু।