বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুবলীগ নেতাকে ডেকে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ

  • প্রতিনিধি, ভোলা   
  • ২ এপ্রিল, ২০২৩ ২১:০৭

এ নিয়ে অভিযুক্ত লালমোহন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেহের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সিরাজ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। গত রাতের মারধরের বিষয়ে আমি জানি না।

ভোলার লালমোহন উপজেলায় যুবলীগ নেতাকে বাজার থেকে ডেকে নিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার রাতে উপজেলার লালমোহন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিন্টু মিয়ার খামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা মো. সিরাজ বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি লালমোহন পৌরসভা ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সদস্য। তার বাড়ি ওই ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকায়।

আহত যুবলীগ নেতার পরিবারের ভাষ্য, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ বাজারের চায়ের দোকান থেকে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মেহেরাবের কথা বলে তাকে ৩০ থেকে ৪০ জন ব্যক্তি ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। এতে তার দুই পায়ের হাঁটু ও বাম হাতের কব্জি ভেঙে যায় ও মাথা ফেটে যায়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যান হামলাকারীরা। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ভোলা সদর হাতপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মো. খোকন জানান, ছোট বেলা থেকেই সিরাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছে। ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বিবিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু নোমান হাওলাদারের ভাগিনা হন তিনি। গত দুই মাস আগে আবু নোমান হাওলাদারের চাচা মারা গেলে সিরাজ তার জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। আর এ থেকেই তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে হামলাকারীরা। এ কারনেই তাকে মারধর করে হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে।

এ নিয়ে অভিযুক্ত লালমোহন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেহের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সিরাজ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। গত রাতের মারধরের বিষয়ে আমি জানি না।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, প্রতিদিন পারিবারিকভাবে নিজেদের মধ্যে মারামরির অনেক ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়টি তার জানা নেই।

এ বিভাগের আরো খবর