রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরি করে পাঠানো হয় কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায়। সেখানে সেগুলো নানা কায়দায় বিক্রির ব্যবস্থা নেয় আরেক দল। এমনই এক চোর চক্রের দুই সদস্যকে রাজধানী ও কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানীর কলাবাগান থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া এই দুজন হলেন নুর ইসলাম ও আবু বরকত মিশকাত।
এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই চারটি আইফোন, ৩৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ও ৩টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মিণ্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ।
তিনি জানান, ২৭ মার্চ সকালে কলাবাগান ক্রিসেন্ট রোড-২ এর একটি ফ্ল্যাটের ষষ্ঠ তলা থেকে চারটি আইফোন ও ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা চুরি হয়। মোট ৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা মূল্যের চুরি হওয়া মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধারে কলবাগান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।
পুলিশের অভিযানে উদ্ধার চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ। ছবি: নিউজবাংলা
মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘কলাবাগান থানার একটি দল তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান, নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর শনাক্ত করে। পরে পুলিশ ২৯ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধারসহ ঢাকা ও কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।’
রমনার ডিসি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে মোবাইল ও ল্যাপটপ চুরি করে। তারা চোরাই মোবাইল ফোনগুলোর আইএমআই নম্বর পরিবর্তন করে এবং মোবাইল ফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পৃথকভাবে খুলে স্বল্প মূল্যে অন্যত্র বিক্রি করে। তারা কুরিয়ার করে চোরাই জিনিসগুলো কক্সবাজারে পাঠিয়ে দেয়।’
রাজধানীতে চোরাই জিনিসপত্র বিক্রির নির্দিষ্ট কোনো স্পট আছে আছে কিনা- এমন প্রশ্নে মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘রাজধানীতে আমরা এমন কোনো স্থান খুঁজে পাইনি। রাজধানীতে মানুষ সচেতন হওয়ায় চোরাই জিনিসপত্র তেমন একটা কেনে না। এজন্য চোর চক্র রাজধানীর বাইরে চোরাই জিনিসগুলো পাঠিয়ে দেয়। গ্রামের মানুষ তুলনামূলক কম দামে ভালো মোবাইল ফোন পেয়ে কিনে নেয়। তারা সাধারণত মোবাইল ফোনটির উৎস সম্পর্কে তেমন একটা খোঁজ নেয় না।’