বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রথম আলোতে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ সংবাদ প্রচারে ৫০ বিশিষ্ট নাগরিকের নিন্দা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ এপ্রিল, ২০২৩ ২১:৩৩

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যম একটি সভ্য সমাজের অন্যতম দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, প্রথম আলো পত্রিকা এই নৈতিক দায়িত্ব উপেক্ষা করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে তারা এ-দেশের স্বাধীনতাকে বিদ্রূপ করে বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাই।’

প্রথম আলো পত্রিকায় রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচারের উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যম একটি সভ্য সমাজের অন্যতম দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, প্রথম আলো পত্রিকা এই নৈতিক দায়িত্ব উপেক্ষা করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে তারা এ-দেশের স্বাধীনতাকে বিদ্রূপ করে বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাই।

‘সম্প্রতি ওই পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রেক্ষাপটে একটি শিশুর ছবি এবং সেই ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যাপশনে উল্লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে পরিষ্কারভাবে উপহাস করা হয়েছে। একজনের ছবির ক্যাপশনে অন্য আরেকজনের উদ্ধৃতি প্রকাশ গণমাধ্যমের নৈতিকতা পরিপন্থী।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের ঘটনা আমরা আগেও প্রত্যক্ষ করেছি।

‘স্বাধীনতার অব্যবহিতকাল পরে ১৯৭৪ সালে বাসন্তী নামের এক নারীকে জাল পরিয়ে সাজানো ছবি তুলে দুর্ভিক্ষের কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল। প্রথম আলোর তৎপরতা ১৯৭৪-এর ঘটনার ধারাবাহিকতা বলে প্রতীয়মান হয়। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একটি মহল অনুরূপ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। তবে এ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কোনো আইনের যেন অপপ্রয়োগ না হয় সেটিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

যারা বিবৃতি দিয়েছেন

অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর, অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহাম্মদ, অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান, অধ্যাপক এ কে এম সাইদুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ, অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া ও অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া।

অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, নাইমুল ইসলাম খান, মো. মনজুরুল ইসলাম ও শ্যামল দত্ত; অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন, অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাশ, অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. নোমান ও অধ্যাপক ডাক্তার কামরুল হাসান খান।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আরও রয়েছেন- প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার, ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হুদা, ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন শিবলু, ডা. নুজহাত চৌধুরী, ডা. মামুন আল মাহতাব, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, তারানা হালিম, গোলাম কুদ্দুস, ডা. এহতেশামুল হক দুলাল, ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, ডা. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান, অধ্যাপক ড. এমরান কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অধ্যাপক ড. কবির হোসেন এবং অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার।

এ বিভাগের আরো খবর