বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাসন্তীর জালের মতোই শিশুর নামে অসত্য লেখা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৪৩

স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে ও ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্ট প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এই ঘটনা বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই। রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এ ধরনের অসত্য সংবাদ পরিবেশন সর্বমহলের মতে একটি অপরাধ, ডিজিটাল অপরাধ।’

‘বাসন্তীকে জাল পরিয়ে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের মতো একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে তার নাম ব্যবহার করে অসত্য লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা কি অপরাধ নয়’- এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এর মাধ্যমে অবশ্যই রাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে ও ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্ট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী এমন প্রশ্ন রাখেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার প্রশ্ন- স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে এভাবে কটাক্ষ করে সংবাদ প্রচার করাটা সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়? সে জন্যই এটার প্রচণ্ড সমালোচনা হয়েছে। এটি ঠিক নয় বলেই অনলাইনে আপলোড হওয়ার পর সেটি তারা সরিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু সেটির স্ক্রিনশট তো বিভিন্ন জায়গায় ছিলো। অনেকে শেয়ার করেছে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে, ঘুরছে।

‘এসবের পরিপ্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলা করেছেন। আর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে এবং আইনের গতিতে আইন চলবে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন জালের দাম কিন্তু কাপড়ের দামের চেয়ে বেশি ছিলো। এখনো জালের অনেক দাম। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে প্রকাশ করা হয়েছিল।

‘অনেকে বলছে, ২৬ মার্চে প্রথম আলোর এ ঘটনা বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই। রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এ ধরনের অসত্য সংবাদ পরিবেশন সর্বমহলের মতে একটি অপরাধ, ডিজিটাল অপরাধ।’

অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক জিনিস নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘কোনো সাংবাদিক যদি অপরাধ করে তার কি শাস্তি হবে না? কেউ যদি অপসাংবাদিকতা করে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে এবং একটি ছেলের হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার নামে অসত্য লেখে, চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন করে, সেটার কি বিচার হবে না? আমরা কি কেউ বিচারের ঊর্ধ্বে, আইনের ঊর্ধ্বে? তা তো নয়।’

এ বিষয়ে বিএনপি’র বিবৃতি দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো কিছু পেলেই বিএনপি বিবৃতি দেয়। এটি সেই অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু নয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশে নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য, সাংবাদিকদেরও ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে অনেক সাংবাদিকও মামলা করেছেন। ক’দিন আগে একজন নারী সাংবাদিক বিদেশ থেকে চরিত্র হননের দায়ে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’

বিশ্বের দেশে দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ অ্যান্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ অ্যান্ড পানিশমেন্টসহ বিশ্বের বহু দেশে এ ধরনের আইন রয়েছে।

‘যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি ২০ বছর কারাদণ্ড। সেখানে ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কার‌ো মৃত্যু হয় তবে সেই অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আমাদের দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য অনেক দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ- যেটি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, স্বাধীনতা দিবসে সেখানে একটি ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুঁসলিয়ে তাকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে এবং সে যা বলেনি তা প্রচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অবশ্যই রাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানা হয়েছে।’

এর আগে ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্ম, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনকে সমর্থন করে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের সংকলন প্রকাশ করার জন্য পিআইবিকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘আশা করি এই সংকলনের মাধ্যমে সবাই বঙ্গবন্ধুর অজানা আরও অনেক তথ্য জানতে পারবে। এই সংকলন প্রকাশিত না হলে এই কথাগুলো হারিয়ে যেত। স্বাধীনতার আগেও বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে সমর্থন করে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বিজ্ঞাপনের সংকলন একটি অসাধারণ প্রকাশনা।’

এ বিভাগের আরো খবর