পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটারসাইকেল চলাচলক করতে পারবে না কি না, সে বিষয়ে রিটের ওপর হাইকোর্ট আদেশ দেবে আরও চার সপ্তাহ পর।
বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রিটের শুনানি আগামী চার সপ্তাহের জন্য মুলতবি করে।
আদালত জানিয়েছে, এ সময়ের মধ্যে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার ও আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ওই রিটের শুনানি আট সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছি হাইকোর্ট।
আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, এ রিটটি করার পর আদালত প্রথমে সরকারকে আট সপ্তাহ সময় দিয়েছিল, সরকার এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা দেখোর জন্য। কিন্তু সেই সময় শেষ হওয়ার পরে আজকে মামলাটি আবার কার্যতালিকায় আসে।
তিনি বলেন, এখানে একটা ডেভেলপমেন্ট (উন্নতি) আছে। সেটা হলো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে সেতু বিভাগে একটা চিঠি দিয়েছিল। চিঠিতে বলা হয়, রিট আবেদনের ছায়ালিপি বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো। অর্থাৎ আমাদের আবেদনটি মহাসড়ক বিভাগ সেতু বিভাগের কাছে পাঠিয়েছে।
আইনজীবী তৈমুর আলম বলেন, এটা আদালতের নজরে আসার পর আদালত বলেছে, সরকার যেহেতু এটা টেকআপ করেছে অতএব সময় দেয়া হোক। এরপর চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে, সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা আশা করি সরকার চার সপ্তাহের মধ্যে একটি ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ৩৮ লাখ মোটরবাইকের চালক আছেন। তাদের অধিকার সমন্নুত থাকবে বলে আশা করছি।
গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরে দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। সরকারের সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আবু হানিফ হৃদয় নামের যাত্রাবাড়ীর এক বাসিন্দা রিট করেন।