উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন, এমন আইনের ৩৩ ধারাটি বাতিল ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
হাইকোর্টের রায়ের ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এখন থেকে উপজেলা পরিষদে ইউএনওরা সাচিবিক সহায়তা দেবেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
আইনের ৩৩ (১) ধারায় বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। ৩৩ (২) ধারায় বলা হয়, পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করবেন।
রায়ের পরে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে ৩৩ ধারা বাতিল চেয়ে রিট করা হয়েছিল। সেই রিটের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজকে রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে ৩৩ ধারা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’
উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ১৩ (ক) ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে এগুলো চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ১৫ জুন রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৬ অক্টোবর রুল জারি করা হয়।
রুলে উপজেলা পরিষদে ইউএনওদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদসংক্রান্ত আইনের ৩৩ ধারা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান এ রিট করেন।