বাগেরহাটের রামপালে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরির অপবাদ দিয়ে শেখ আব্দুল্লাহ নামের এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার ব্রীচাকশ্রি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার আব্দুল্লাহ বাগেরহাট সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ এলাকার শেখ গফুরের ছেলে। সে বর্তমানে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘটনার দিন দুপুরে তাকে চাকশ্রি এলাকা থেকে ব্রীচাকশ্রী এলাকায় তুলে নিয়ে যান শেখ হাসান আলী ও বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহর ভাগ্নে আবু সালেহসহ কয়েকজন। চুরির অপবাদ দিয়ে প্রায় ২২ ঘণ্টা নির্যাতনের পরে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে স্ট্যাম্পে সই নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে চার দিন পার হলেও এ ঘটনার কোনো মালালা হয়নি। তবে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় পর ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।
ভুক্তভোগীর ভাষ্য, পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ব্রীচাকশ্রী এলাকার শেখ হাসান আলীকে তিনি ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা ধার দেন। এ টাকা পরিশোধ না করে হাসান তার অটোরিকশা আব্দুল্লাহর কাছে বিক্রি করে দেন। তবে প্রতিদিন ভাড়া দেয়ার শর্তে অটোরিকশাটি হাসানই চালাতে থাকেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেন। পরে আব্দুল্লাহ অটোরিকশাটি বিক্রি করে দেন। এ নিয়েই দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
আব্দুল্লাহ বলেন, নির্যাতনের পর সাদা স্ট্যাম্পে আমার এবং আমার মায়ের স্বাক্ষর রেখে এবং ৩ লাখ টাকার দেওয়ার স্বীকারোক্তি রেখে ছেড়ে দেয়। আমাকে যারা নির্যাতন করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। প্রত্যক্ষদর্শী শেখ আব্দুল্লাহর বন্ধু প্রাইভেটকার চালক আল আমিন বলেন, ঘটনাস্থলে গেলে আমাকেও বেঁধে রাখা হয়। পরে তারা শুক্রবার দুপুরে আমাদের ছেড়ে দেয়।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ বলেন, আমার সামনে কোনো নির্যাতন হয়নি। আবু সালেহ আমার ভাগ্নে নয়।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্ববাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, যুবক আব্দুল্লাহর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। মারাত্মক ইনজুরি রয়েছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, ‘ভিডিওটি আমরা দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’