বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যায় একজনের স্বীকারোক্তি, রিমান্ডে দুজন

  • প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ    
  • ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৪:০৯

সোমবার মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার এই আদেশ দেন। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের আদালতে পাঠায় ডিবি পুলিশ।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া হত্যার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া আসামি মেঘ আনোয়ার। মামলার অপর দুই আসামি মুন্না ও অভির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

সোমবার মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার এই আদেশ দেন। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের আদালতে পাঠায় ডিবি পুলিশ।

মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক জামাল হোসেন জানান, ডিবি পুলিশ আদালতের কাছে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুইজনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে আসামি মেঘ আনোয়ার হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

রোববার সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুন্না, মেঘ আনোয়ার ও অভিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার একটি গ্যারেজ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।

সোমবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার গোলাম সবুর জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরাফাত ও আলিফ নামের আরও দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ইমতিয়াজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। গত ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ নিয়ে ৮ মার্চ তার স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পর দিন ৯ মার্চ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের মরিচা সেতু এলাকা থেকে একটি ঝোঁপের ভেতর থেকে ইমতিয়াজের মরদেহ উদ্ধার হয়। ওইদিনই বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ দাফন শেষে থানায় হত্যা মামলা করে পুলিশ। মরদেহ দাফনের দশ দিন পর পরিবার জানতে পারে সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের।

পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে মুন্সিগঞ্জস্থ কাটাখালি জেলা আইনজীবী সমিতির কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করে শনাক্ত করেন ইমতিয়াজের স্বজনেরা।

গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, একটি অ্যাপের মাধ্যমে চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে নিতেন। পরে আপত্তিকর অবস্থার ভিডিও, ছবি রেকর্ড করে ওই ব্যক্তির কাছে টাকা আদায়ের চেষ্টা করতেন। ভুক্তভোগীরা সামাজিক অবস্থানের কারণে কখনও এ বিষয়ে মুখ খুলতেন না। চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের টাকা জমা হতো চক্রের সদস্য আরাফাতের মায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরও জানান, ওই অ্যাপের মাধ্যমে স্থপতি ইমতিয়াজের সঙ্গে চক্রের সদস্য আসিফের পরিচয় হয়। ৭ মার্চ ইমতিয়াজকে মোবাইল ফোনে কলাবাগানের একটি বাসায় ডেকে নেন আসিফ। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন আরাফাত, মুন্না ও মেঘ। তারা সবাই মিলে তাকে ফাঁদে ফেলে টাকার জন্য মারধর করেন। একপর্যায়ে ইমতিয়াজের মৃত্যু হয়।

এ বিভাগের আরো খবর