বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সংলাপে আহ্বান করেননি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এ চিঠি দেয়া হয়। চিঠি দেয়ার পাঁচদিন পর মঙ্গলবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আপনাদের উদ্দেশে দুটো কথা বলবো। গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি, আমাদের এখান থেকে আমরা অনানুষ্ঠানিক পত্রে বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আনুষ্ঠানিক নয়। অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারেন- এমন একটি চিঠি দিয়েছিলাম গত বৃহস্পতিবার শেষ বেলায়। বিভিন্ন বক্তব্য থেকে মনে হয় চিঠিটা উনারা পেয়েছেন।’
নির্বাচন কমিশনের আলোচনার ডাকে বিরোধী দল বিএনপি সাড়া দেবে কি না তা জানা যাবে মঙ্গলবার। নির্বাচন কমিশনের চিঠির জবাবে তাদের অবস্থান কী হবে তা নির্ধারণ করতেই স্থায়ী কমিটির সভার ডাক দিয়েছে বিএনপি। রাত ৮টায় এক ভার্চুয়াল সভা করবে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, আমি ধরেই নিয়েছি উনারা (বিএনপি) চিঠিটা পেয়েছেন।
বিএনপিকে সংলাপে আহ্বান করেননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংলাপ বিষয়টা কিন্তু আনুষ্ঠানিক। আমরা উনাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বলেছি, আনুষ্ঠানিক না হলেও অন্তত অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আসতে পারেন। আমরা এই আমন্ত্রণ, আহ্বান অত্যন্ত বিনীতভাবে জানিয়েছি। এরপর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সত্য মিথ্যা জানলাম।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বলা হয়েছে বা অনেকে বলতে চেয়েছেন এটা সরকারের একটা কূটকৌশল। আমি আপনাদের মাধ্যমে পুরো জাতিকে অবহিত বা আশ্বস্ত করতে চাই। এই পত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো রকম সম্পর্ক নেই বা ছিল না। যদি কেউ এটাকে কূটকৌশল মনে করতে চান, তবে এটি নির্বাচন কমিশনের কূটকৌশল হতে পারে, সরকারের কূটকৌলশ নয়।
‘আর নির্বাচন কমিশন কখনোই কূটকৌশল হিসেবে এই কাজটি করেনি। নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকেই আমরা অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে বিশেষ করে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। সংসদীয় গণতন্ত্রে দলীয় শাসনটাই হচ্ছে মূখ্য। বিদ্রোহী প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর দ্বারা কখনো সরকার গঠন করা সম্ভব না, সেজন্য আমাদেরও লক্ষ্য আমাদের দলগুলো চর্চার মাধ্যমে আরো সমৃদ্ধ হোক, আরো সংহত হোক এবং দলীয় চর্চা এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চর্চা আরো সংহত হোক। সেটা আমাদের প্রথমদিন থেকে সদিচ্ছা। সেই সদিচ্ছার প্রতিফলন আমাদের প্রথমদিন থেকে আমরা সব সময় আমাদের মাধ্যমে ঘটানোর চেষ্টা করেছি।’