বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাস্তি না হওয়ায় ফের বিচারবহির্ভূত হত্যা: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৭ মার্চ, ২০২৩ ১৭:৩০

বিএনপি মহাসচিব বলেন, র‍্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর নাটকীয়ভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে গিয়েছিল। এখন তা আবার ঘটতে শুরু করেছে। কারণ যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’

দেশে আবারও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অতীতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি না হওয়ায় পুনরায় এমন হত্যাকাণ্ড ঘটতে শুরু করেছে।

রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে ‘মুক্তিযোদ্ধা গণসমাবেশ’-এ তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নওগাঁয় র‍্যাব এক নারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তার বলছেন, নিহত ওই নারীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যে র‍্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, সেই র‍্যাবের বিরুদ্ধে আবারও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠছে।

‘নিষেধাজ্ঞার পর নাটকীয়ভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে গিয়েছিল। এখন তা আবার ঘটতে শুরু করেছে। কারণ যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’

একাত্তরের পাকিস্তানি হানাদার সরকারের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো পার্থক্য কেউ নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে যে সরকার অধিষ্ঠিত তা একাত্তরের পাকিস্তানি বাহিনীর প্রেতাত্মা। তারা সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। স্বাধীনতার পর বাহাত্তর সালেই এই আওয়ামী লীগের আসল মুখোশ খুলে গিয়েছিল।

‘আওয়ামী লীগ মনে করে তারা একাই যুদ্ধ করেছে। এ কারণে তারা শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীদের নাম স্মরণ করে না। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের নাম তো উচ্চারণই করতে চায় না। বরং তাকে আরও দোষ দেয়।’

আওয়ামী লীগ নেতারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাজ হচ্ছে প্রতারণা করা। ২০০৮ সালে ১০ টাকা কেজি চালের কথা বলেছে। এখন চালের দাম কত? তারা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কথা বলছে। যুদ্ধ নয়, বরং আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা আর তাদের দুর্নীতিতে দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতি।’

দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে সংলাপের নাটক করা হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এখনও এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেইনি। নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা ছাড়া আমরা সংলাপ করব না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাকে চিবিয়ে খাচ্ছে। স্বাধীনতা বাংলার মানুষের কাজে লাগছে না। লেবুর হালি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা। ধনী বাংলাদেশকে গরিব বানিয়ে কিছু মানুষ বিদেশে নতুন করে ধনী হওয়ার চেষ্টা করছে। যেদিন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থাকবে না সেদিন এ দেশের চেহারা পাল্টে যাবে।’

মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর