বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবির শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ দুই সদস্য গ্রেপ্তার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৭ মার্চ, ২০২৩ ১৬:১২

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় প্রলয় গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হুমায়ুনকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় অভিযোগ দিয়ে মামলার আবেদন করেছেন তার মা সাদিয়া আফরোজ খান।

রোববার সন্ধ্যায় ১৯ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে এবং ৬ থেকে ৭ জন অজ্ঞাতনামার নামে তিনি এই মামলার আবেদন করেন। পরে পুলিশ এই মামলা গ্রহণ করে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

এই দুইজনসহ আরও বিশ থেকে পঁচিশজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রলয় নামে একটি গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের সব সদস্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় প্রলয় গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা হলেন, নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও ফয়সাল আহমেদ সাকিব। তারা মামলার নথিভুক্তি আসামি।

ফয়সাল আহমেদ সাকিব ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে থাকেন। আর নাঈমুর রহমান দুর্জয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি জসীমউদ্দীন হলে থাকেন।

হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খানের করা মামলায় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের তবারক মিয়াকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।

নাম উল্লেখ করে আরও যাদের নামে মামলা করা হয়েছে, তারা হলেন আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের ফয়সাল আহম্মেদ সাকিব ও ফারহান লাবিব, দর্শন বিভাগের অর্ণব খান, মার্কেটিং বিভাগের মো. শোভন, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের নাঈমুর রহমান দুর্জয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের সিফরাত সাহিল, সমাজকল্যাণ বিভাগের হেদায়েত নূর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাহিন মনোয়ার, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাদমান তাওহিদ বর্ষণ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ সাইদ, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের আবু রায়হান, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রত্যয় সাহা, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আব্দুল্লাহ আল আরিফ, কবি জসিম উদ্দিন হলের রহমান জিয়া, চাইনিজ ল্যাংগুয়েজ বিভাগের ফেরদৌস আলম ইমন, ফ্যাইন্যান্স বিভাগের মোশারফ হোসেন এবং জগন্নাথ হলের জয় বিশ্বাস। এরা সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এজাহারে সাদিয়া আফরোজ খান লিখেন, ‘রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে বিভাগের বন্ধুরা মিলে ইফতার করছিল জোবায়ের। হঠাৎ একটি প্রাইভেট কার বেপরোয়াভাবে যাচ্ছিল। গাড়ির গতি বেশি থাকায় তাদের গায়ে কাদা ছিটে লাগে। এ সময় গাড়ির ভেতরে উচ্চস্বরে গান বাজছিল।’

তিনি আরও লিখেন, ‘আমার ছেলে এবং তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা ডাক দেয়ার পরও গাড়িটি থামেনি। এরপর আমার ছেলে ও তার বন্ধুরা ইফতার শেষ করে কার্জন হলের দিকে যাচ্ছিল। বাংলা একাডেমি পার হওয়ার পর তিন নেতার মাজারের সামনে ওই গাড়িটা দেখে তারা চিনতে পারে। চালককে জিজ্ঞেস করে, এভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলে কেন। পরে গাড়ি থেকে পাঁচজন ছেলে বের হয়। আমার ছেলে এবং তার বন্ধুরা দেখে যে তারা ক্যাম্পাসের ছাত্র। পরে অভিযুক্তদের একজন তাদের কথা না বাড়িয়ে চলে যেতে বলে। ক্যাম্পাসের ভেতরে কেউ এভাবে গাড়ি চালায় কি না, জানতে চাইলে অভিযুক্তরা উত্তেজিত হয়ে যায়। এ নিয়ে আমার ছেলে এবং তার বন্ধুদের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়।’

জোবায়েরের মা বলেন, ‘কথা-কাটাকাটির পর আমার ছেলে কবি জসীমউদ্‌দীন হলের দিকে চলে যায়। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে তাকে ফোন দিয়ে সে কোথায় আছে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে আমার ছেলে তার অবস্থান জানায়। কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অভিযুক্তরা জোবায়েরকে হত্যার উদ্দেশে স্টাম্প, রড, বেল্ট ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে মাথা ও চোখে গুরুতর জখম হয়। ছিঁড়ে যায় ডান পায়ের লিগামেন্ট।’

তিনি আরও বলেন, ‘মারধরের সময় জোবায়েরের বন্ধুরা তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও এলোপাতাড়ি পেটান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। প্রাণনাশের হুমকিসহ দেখানো হয় ভয়ভীতি। মারধরে জোবায়ের চেতনা হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে জোবায়েরকে তার বন্ধুরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।’

এ বিভাগের আরো খবর