রাজধানীর শিশু হাসপাতালে চোর সন্দেহে মো. মামুন নামের এক যুবককে দলবদ্ধ পিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনায় কোনো আনসার সদস্য জড়িত থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
রোববার রাতে শেরেবাংলা নগর থানায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এর আগে নিহতের বড় ভাই মাসুদ রানা নিউজবাংলাকে বলেন, আমার ভাইকে হত্যার ঘটনায় আনসার সদস্য ও হাসপাতালের অ্যাম্বুলেসের চালক এবং হেলপাররা জড়িত। চোর বলে ধাওয়া দিয়ে ধরে দলবদ্ধ পিটুনি দিয়ে তারা মামুনকে মেরেছে। আমার ভাই চুরি করলে সেটার জন্য দেশে আইন আছে। কেন তাকে পিটিয়ে মারবে।
সার্বিক বিষয় জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন, আমরা এখনও হাসপাতালের সব সিসিটিভি ক্যামেরর ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। প্রাথমিকভাবে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যতটুকু জানতে পেরেছি, ভিকটিম হাসপাতালের ভেতর থেকে একটা সাইকেল নিয়ে আসে। তখন হাসপাতালে গেটে আনসার সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, সাইকেলটা কার। চ্যালেঞ্জের মুখে ভিকটিম সাইকেল রেখে দৌড়ে পালাতে যায়। পরে জনতা তাকে দৌড়ে ধরে। ধরার পরে তাকে দলবদ্ধ পিটুনি দেয়ার পর সে মারা যান।
এ ঘটনায় আনসার সদস্যদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইকেল নিয়ে বের হয়ে আসার সময় আনসার সদস্য তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এটা তার কাজ। পরে দৌড়ে পালানোর সময় সাধারণ জনতা তাকে মারধর করে। এই লোকটা কেন দৌড় দিল সেটা তদন্ত সাপেক্ষ। ভিকটিমকে মারার অধিকার কেউ রাখে না। আনসার সদস্য এর সঙ্গে জড়িত কি না সেটা তদন্ত সাপেক্ষ। এঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা তদন্তের সুবিধার জন্য এখন তার নাম প্রকাশ করতে পারব না।